নয়াদিল্লি: আর সরাসরি ভ্যাকসিন কিনতে পারবে না বেসরকারি হাসপাতালগুলি। রাজ্যগুলিকে জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। উৎপাদনকারী সংস্থার কাছ থেকে সরাসরি কেনা যাবে না ভ্যাকসিন। কোউইন পোর্টালে ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন করতে হবে। কত ভ্যাকসিন চাই, আবেদন করতে হবে পোর্টালেই। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মাত্রাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র।


স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন যে মাসে লাগবে তার আগের মাসের কোন একটি সপ্তাহকে বেছে নিতে হবে পোর্টালে। এই সপ্তাহে ওই হাসপাতাল কতজনকে কোভিড টিকা দিয়েছেন তার একটি দৈনিক গড় করা হবে। গড় করে ৩০ দিনের হিসাবে ভ্যাকসিনের সংখ্যা যা দাঁড়াবে সেই অনুযায়ী পরের মাসের ভ্যাকসিনের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হবে। সেই পরিমাণ ভ্যাকসিনই কিনতে পারবে ওই বেসরকারি হাসপাতাল। যাতে অপ্রয়োজনে কেউ ভ্যাকসিন মজুত করে রাখতে না পারে তার জন্যই এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে। এবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলির কোভিড ভ্যাকসিনেশনে এইভাবেই নজর রাখবে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামীকাল, ১ জুলাই থেকে নয়া নিয়ম চালু হতে চলেছে।


গাইডলাইনে বলা হয়েছে, যেসব বেসরকারি হাসপাতালে প্রথমবার টিকাকরণ শুরু হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে দেখা হবে বেডের সংখ্যা কত।  কো-উইন অ্যাপে রাজ্যগুলির থেকে বেসরকারি হাসপাতাল আবেদন করলে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালগুলিকে কো-উইন অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে না।


গত ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া  হয় সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে। এরপর তালিকায় যোগ হয় স্পুটনিক-ভি ও। ইতিমধ্যেই দাবি করা হয়েছে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, আলফা ও ডেল্টা দুই ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলাতেই সমান কার্যকরী। দাবি মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের। সংস্থার দাবি, কোভ্যাক্সিন প্রয়োগে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তার জেরেই দুই ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলা সম্ভব। ভারতে এখনও পর্যন্ত আড়াই কোটি মানুষকে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। এদিকে স্পুটনিক প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি, তাদের ভ্যাকসিন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় ৯০ শতাংশ সক্ষম।