কলকাতা: বিএসএফ কমান্ডার সতীশ কুমার তো বটেই, বাংলাদেশে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই আরও ১২ জন অফিসারের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। এঁদের মধ্যে ৭ জন বিএসএফ আধিকারিক, ৫ জন আছেন কাস্টমসে। মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে আরও ২ ব্যবসায়ীর এই গরু পাচারে যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


সিবিআই সূত্রে খবর, বিএসএফ ও কাস্টমসের এই ১২ জন অফিসারের মদতে চলত গরু পাচান। সিবিআই অফিসাররা গতকাল এক জায়গায় সারাদিন তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছেন। জানা যাচ্ছে, ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিএসএফের ৩৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ডান্ট ছিলেন। সে সময় পাচারের সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় প্রায় ২০,০০০ গরু বিএসএফ বাজেয়াপ্ত করে। বিক্রির জন্য তুলে দেয় কাস্টমসের হাতে। এরপর সিজার লিস্টে সে সব গরুর বয়স অল্প, ওজন কম দেখিয়ে টেন্ডার করে কাস্টমস। তখন গরু পাচারকারীরা আবার গরুগুলো আইন মোতাবেক কিনে নেয়। তারপর হাটে না বেচে কাস্টমসের নথি দেখিয়ে সেগুলো ফের পাচার করে দেয় বাংলাদেশে।

গতকাল সিবিআই সতীশের সল্টলেকের বাড়ি সিল করে দেয়। সতীশ এখন ঝাড়খণ্ডে পোস্টেড, তিনি বাড়ি ছিলেন না। তাঁর মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চলে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আধিকারিকরা গরু পাচারকারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পেতেন। তাঁদের প্রত্যেককে তলব করা হবে দরকারে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ ও ছত্তিশগড়ের রায়পুরে কাল তল্লাশি চালান সিবিআই গোয়েন্দারা।

এছাড়া সিবিআইয়ের এফআইআরে উঠে এসেছে এনামুল হক, আনারুল শেখ ও মহম্মদ গোলাম মুস্তাফা নামে তিনজনের নাম। অভিযোগ, এরা গরু পাচারকারী, মালদা, মুর্শিদাবাদ এলাকা থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার করে। সতীশ কুমারের ছেলেকে নিজের কোম্পানিতে চাকরি দিয়েছিল এনামুল। প্রভাবশালী যোগ না থাকলে এই সাহস হত না। এর পিছনে একটা বড় চক্র আছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ এনামুল অস্বীকার করেছে।