বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি: ফিরলেন জগন্নাথ রায়। তবে কফিনবন্দি হয়ে। শ্রীনগর-বারমুলা জাতীয় সড়কে টহল দেওয়ার সময় হঠাৎই ছুটে আসে এলোপাথাড়ি গুলি। জখম হয়েই প্রথমে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ও তারপর লড়ছিলেন মৃত্যুর সঙ্গে। কিন্তু শেষমেশ সেই যুদ্ধে হার মানলেন জগন্নাথ রায়। জম্মু-কাশ্মীরে সেদিনের জঙ্গি হামলায় জগন্নাথ রায় ছাড়াও শহিদ হয়েছেন আরও এক জওয়ান। গুরুতরভাবে আহত হয়েছিল তিনজন। জগন্নাথ রায়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই শ্মশানের নীরবতা ধূপগুড়ি এলাকায়। আজ সকাল জগন্নাথের কফিন বন্দি দেহ বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয়।
গত ২৫ মার্চ শ্রীনগর-বারামুলা জাতীয় সড়কের উপর টহল দিচ্ছিলেন সিআরপিএফের ৭৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ান-এর জওয়ানরা। সেই সময়ে আচমকাই সিআরপিএফ কনভয়ের উপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে লস্করের ৩-৪ জন জঙ্গি। জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন সিআরপিএফের জওয়ান জগন্নাথ রায়। উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়ির বাসিন্দা জগন্নাথ রায় তার পর থেকেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। তবে চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানলেন জগন্নাথ। যে খবর পাওয়ার পর থেকেই জগন্নাথের বাড়িতে ক্ষণে ক্ষণে কান্নার রোল উঠছে।
চলতি মাসে একাধিকবার সেনাদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলেছে। গত ২২ মার্চ জম্মু ও কাশ্মীরে গুলি বিনিময়ে চার লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। ওই দিন সোপিয়ানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে মৃত্যু হয় চার লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির। সোপিয়ানের মানিহাল এলাকায় ওই দিন ভোর রাত থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় শুরু হয় বলে কাশ্মীরজোন পুলিশ জানিয়েছিল। ওই এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
পুলিশ, সেনা ও কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর একটি যৌথবাহিনী ওই এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র। নিরাপত্তা বাহিনীর ওই অভিযানে ১ টি একে ৪৭ ও ২ টি পিস্তল বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে জানা গিয়েছিল। ওই গুলি বিনিময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ান জখম হয়েছিলেন।