নয়াদিল্লি: রাজধানীর করোনা চিত্র বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০,৭৩২জন। যা উদ্বেগে রেখেছে মুখ্যমন্ত্রীকে। দিল্লিবাসীকে তাই আগের মতো খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোতে না করেছেন তিনি। সামজিক দূরত্বের পাশাপাশি স্যানিটাইজার ও ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার রাজধানীর করোনা পরিস্থিতিকে 'ভেরি সিরিয়াস' বলে বর্ণনা করেছেন কেজরিওয়াল।
লকডাউন নিয়ে কী ভাবছে দিল্লি ? দেশের অন্যান্য রাজ্য লকডাউনের পথে হাঁটলেও এখনই রাজধানীতে লকডাউনের কথা বলছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ''করোনার সঙ্গে মোকাবিলার জন্য লকডাউন কোনও সমাধানের রাস্তা নয়। একমাত্র হাসপাতালের ব্যবস্থা ভেঙে পড়লেই লকডাউন জারি হতে পারে।''
কেন সংক্রমিতদেরও হাসপাতালে 'না' কেজরিওয়ালের ?
দিল্লির করোনা গ্রাফ নিয়ে চিন্তায় মুখ্যমন্ত্রী। তবে নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের হাসপাতালে আসতে মানা করছেন তিনি। কেজরিওয়ালের কথায় , 'কেবল সিরিয়াস রোগীদেরই হাসপাতালে যাওয়া উচিত। অন্যথায় সব আক্রান্তরা হাসপাতালে এলে বেড পাওয়া যাবে না। বাধ্য হয়ে লকডাউনের পথে যেতে হবে দিল্লি সরকারকে।তার পরিবর্তে আক্রান্ত হলে হোম আইসোলেশনে থাকুন রোগীরা।''
'আঙুল তোলার সময় নয়'
দিল্লির করোনা পরিস্থিতি মোকবিলার জন্য বিরোধীদেরও আহ্বান জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, ''এই সময় ভাইরাসের মোকাবিলায় সব দলকে একজোট হয়ে কাজ করা উচিত। একে অন্যের দিকে আঙুল তোলার সময় এটা নয়।'' দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তায় খোদ প্রধানমন্ত্রী। তবে অনেক রাজনৈতিক দলই পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে নয়।
কোথায় বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, পূর্ণ লকডাউনের পথে যেতে পারে মহারাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই রাজ্যের করোনার পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রে জারি হয়েছে উইকেন্ড লকডাউন। মহারাষ্ট্রের মতো নাইট কার্ফুর পথে হেঁটেছে কর্ণাটক। তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবাকে এই বিধিনিষেধের বাইরে রাখা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, আগের মতো করোনার উপসর্গ কেবল জ্বর, সর্দি,কাশিতেই থেমে থাকছে না। নিত্য নতুন লক্ষণ নিয়ে ফিরেছে এই ভাইরাস। পেটের ব্যথা, চোখ লাল এমনকী বমি হলেও করোনা পরীক্ষার কথা বলছেন ডাক্তাররা।