কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় উমপুনের তাণ্ডবে পূর্ব মেদিনীপুরের ইটাবেড়িয়া ও ভূপতিনগরে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। লণ্ডভণ্ড সৈকত শহর দিঘা। ভেঙে পড়েছে শয়ে শয়ে গাছ। কাঁথিতে ধূলিসাৎ বহু কাঁচা বাড়ি।


উমপুনের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি অফিস। ক্ষতিগ্রস্ত আরও বেশকিছু সরকারি দফতর।  কাকদ্বীপ-কুলতলি-কৈখালি-পাথরপ্রতিমায় বাঁধে ফাটল। ভেসে গিয়েছে কচুবেড়িয়া জেটি। গাছ ভেঙে অবরুদ্ধ ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। ক্যানিং হাসপাতালে উড়ে গিয়েছে টিনের চাল।

উমপুনের ধাক্কায় হাওড়ার ব্যাঁটরায় খড়-কুটোর মতো উড়ে যায় স্কুলের টিনের চাল। ভেঙে পড়েছে বহু গাছ, বাড়ি, দোকান বিদ্যুতের খুঁটি।

হুগলিতেও তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় উমপুন। শ্রীরামপুরে বিদ্যুত্‍স্পষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। বাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে গাছ।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকে গাছ পড়ে যুবকের মৃত্যু। মিনাখাঁয় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। হিঙ্গলগঞ্জে ধূলিসাত্‍ ঘর-বাড়ি। বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও বিপর্যস্ত টেলি যোগাযোগ।

উমপুনের জেরে লণ্ডভণ্ড পশ্চিম মেদিনীপুরও। উড়ে গিয়েছে খড়গপুর স্টেশনের গ্লোসাইন বোর্ড। মেদিনীপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বাংলো লাগোয়া দোকানের উপর ভেঙে পড়ে গাছ।

পশ্চিম বর্ধমানেও বয়ে যায় ঝড়। গাছ ভেঙে আটকে যায় বহু রাস্তা। পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। ঝড়ের প্রভাব পড়েছে বর্ধমান শহরেও।