নয়া দিল্লি: নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই যেন 'অতি তীব্র' ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে 'বিপর্যয়' (Cyclone Biparjoy)। মৌসম ভবনের (IMD) তরফে জানান হয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় নিজের চরিত্র বদলে নিচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। বদলেছে নিজের গতিপথও। আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়টি।                                                               


মৌসম ভবনের তরফে এও জানান হয়েছে, উপকূলের দিকে যত এগোচ্ছে এই ঝড়টি ততই প্রাবল্য বাড়ছে। গতি বাড়িতে গতিপথে কিছুটা বদল এনে উত্তর দিকে সরে গিয়েছে। এর ফলে ১৫ জুন সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলে ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ল্যান্ডফলের সময়ে ১৫০-১৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবার আশঙ্কা করা হচ্ছে।                     


আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামী তিন দিনের মধ্যে এটি উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে যাওয়ার আগে ধীরে ধীরে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। আমদাবাদ আবহাওয়া কেন্দ্রের ডিরেক্টর মনোরমা মোহান্তি বলেছেন যে ঘূর্ণিঝড় বির্পযয় বর্তমানে পোরবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমের উপকূলে সতর্কতা জারি হয়েছে। মৎসজীবীদের মাঝ সমুদ্র থেকে ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছে। 


মনোরমা মোহান্তি এও জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এর গতি উত্তর-পূর্ব দিকে পরিবর্তিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর ঘূর্ণিঝড়ের গতিমুখ হবে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে। তিনি জানান, ১৫ জুন পর্যন্ত গুজরাটে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ প্রবল হবে।


এই ঘূর্ণিঝড়ের এমন নাম কেন? 


দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'বিপর্যয়' রেখেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের মৌসম সংস্থা সাধারণত বর্ণক্রম অনুযায়ী নাম রেখে থাকে। এই নাম দেয় সেই সংস্থায় সদস্য দেশের তরফেই দেওয়া হয়ে থাকে। 


এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠবে। যার প্রভাব  ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে। ফলে যাঁরা সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁরা যাতে যত শিগগিরই সম্ভব ফিরে আসেন, সে বিষয়েও বার বার সতর্ক করা হয় মৌসম ভবনের তরফে।


 


আরও পড়ুন, রবিবার স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে একাধিক জেলা! দার্জিলিং-কালিম্পঙে অতিভারী বর্ষণ সতর্কতা