নয়া দিল্লি: শক্তি ও গতি বাড়িয়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল সাইক্লোন 'বিপর্যয়' (Cyclone Biparjay)। ইতিমধ্যেই ভারতের (India) পশ্চিম উপকূলে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। গুজরাতের (Gujarat) সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ উপকূলে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। সেই প্রেক্ষাপটে এদিন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। 


মৌসম ভবনের তরফে জানান হয়েছে, গুজরাতের সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ উপকূলের পরিস্থিতি কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। সমুদ্রও ফুঁসছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। কচ্ছ, জামনগর, মোরবি, গির সোমনাথ, পোরবন্দর, দেবভূমি, দ্বারকা জেলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের মারাত্মক প্রভাব পড়তে চলেছে। ১৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড় হাওয়া, সঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতও হবে। 


ইতিমধ্যেই কচ্ছ উপকূল থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল রবিবারই রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। সমুদ্র যেহেতু ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠছে তাই তিথাল সৈকত আপাতত পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে গুজরাত প্রশাসনের তরফে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান হয়েছে। 


আইএমডির পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ১৫ জুন স্থলভাগে আঘাত হানবে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। সাইক্লোন বিপর্যয়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মহারাষ্ট্রে।  সোমবার থানে, রায়গড়, মুম্বই এবং পালঘর সহ মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জায়গায় এর প্রভাবে  ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। সেই সঙ্গে  হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। 


ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় শক্তিশালী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুম্বইতে সোমবার সকালে সমুদ্র উথাল-পাথাল । রবিবার রাতে মুম্বই ও মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু অংশে বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টি চলবে সোমবারও। 


মুম্বই বিমানবন্দরে প্রবল যাত্রীভোগান্তির ছবি সামনে এসেছে। গতকার সন্ধে থেকে একের পর এক বিমান বাতিল হয়েছে। অনেক বিমানকেই মুম্বই বিমানবন্দরে নামতে না দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়ার কারণে মুম্বই বিমানবন্দরে একটি রানওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়ায় বেশ কিছু বিমান যেমন বাতিল করা হয়েছে। তেমনই বেশ কিছু বিমানে প্রবল দেরি করানো হয়েছে। পরিস্থিতির কারণে এমন পদক্ষেপে যাত্রীদের ভোগান্তি হওয়ার ট্য়ুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া।


একের পর এক বিমান বাতিল হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। বিমানবন্দরে হুলুস্থুল পড়েছে, কখন বিমান ছাড়বে জানা যাচ্চিল না। ভোগান্তির কথা জানিয়ে ট্যুইট করেছিলেন ইন্ডিগো বিমানের এক যাত্রী। সেই ট্যুইটে উত্তর দিতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির কারণে তৈরি হওয়া আবহাওয়াকেই দায়ী করেছে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ।


 


আরও পড়ুন, নিজের হাতে ৮ হাজার গাছকে সন্তানস্নেহে পালন, ১১২ বছরেও কীর্তি গড়ে চলেছেন ভারতের 'বৃক্ষ-মাতা'