আহমেদাবাদ : গুজরাতের ওপর আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। বিধ্বস্ত উপকূল এলাকা। আহত হয়েছে অন্তত ২২ জন। ভেঙে পড়েছে শয়ে শয়ে গাছ। গুজরাতের মোরবিতে প্রবল ঝড়ে ৩০০-র বেশি বিদ্য়ুতের খুঁটি নষ্ট ! ঝড়ের পর লন্ডভন্ড গুজরাত।  



বৃহস্পতিবার রাতে গুজরাতের উপকূলীয় অঞ্চলে স্থলভাগে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের তীব্রতা হ্রাস পেয়েছে বলে আইএমডি সূত্রে খবর। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে বিপর্যয় বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (IMD)। সমুদ্রের উপর যতক্ষণ থাকে ততক্ষণই শক্তি সঞ্চয় করতে পারে ঘূর্ণিঝড়। তারপরেই ক্রমশ অগ্রগতি হয় ঝড়ের। শেষ পর্যন্ত উপকূলের কাছে এসেছে আছড়ে পড়ে। ল্যান্ডফলের মুহূর্তে তীব্র শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়লেও, ভূমিভাগে ঢোকার পর থেকেই ক্রমশ শক্তি হারাতে থাকে ঘূর্ণিঝড়। তারপর একসময় শক্তি কমে পরিণত হয় অতি গভীর নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপে। 


আইএমডি-র ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান, “ঘূর্ণিঝড়  বিপর্যয় উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গেছে এবং গুজরাটের জাখাউ বন্দরের কাছে পাকিস্তান উপকূল সংলগ্ন সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অতিক্রম করে চলে গিয়েছে বিপর্যয়। ঘূর্ণিঝড়টির তীব্রতা ১০৫-১১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় নেমে এসেছে।  এর প্রভাবে শুক্রবারও রাজস্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র পটেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্য কতটা প্রস্তুত তা নিয়ে ।  প্রধানমন্ত্রী গির অরণ্যের সিংহ সহ অন্যান্য বন্য প্রাণীদের নিরাপত্তার বিষয়েও জানতে চান। 


NDRF এর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন । মারা গিয়েছে ২৪ টি পশু। সাইক্লোনের ল্যান্ডফল হওয়ার আগেই ঝড়ের জেরে মারা গিয়েছে ২ জন। 


 






গত কয়েক দিনে ভারত ও পাকিস্তানে ১৮০০০০ জনেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে। ব্যবস্থা করা হয় ত্রাণ শিবিরেরও। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি  স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর গুজরাতের বেশ কিছু অংশে বাড়িঘর ও গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে। শুক্রবার সকাল থেকে উপকূলে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বিপর্যয়ের ল্যান্ডফল হয়ে গেলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বজায় থাকবে ২৪-৪৮ ঘন্টা। উত্তর গুজরাত এবং দক্ষিণ রাজস্থানের কিছু অংশে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত চলতে থাকবে।