নয়াদিল্লি : ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আসার আগেই পূর্ব উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে পাঠানো হয়েছে এই বার্তা। অবিলম্বে ইয়াস আসার আগেই উপকূলবর্তী অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলতে বলা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবদের।


ইয়াসের আশঙ্কায় তামিলনাড়ু, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যসচিব তথা আন্দামান নিকোবর আইল্যান্ডের প্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ। অবিলম্বে উপকূলবর্তী জেলায় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। ভূষণ বলেছেন, ''ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪মে উত্তর আন্দামান সমুদ্রের ওপর একটা নিম্নচাপ তৈরি হবে। পরে যা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেব। ২৬ মে-র সকালের মধ্যে এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়বে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে এই ঝড়ে। এ ছাড়াও আন্দামান নিকোবর দ্বীপে এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। যা থেকে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।''


এখানেই থেমে থাকেনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের আশঙ্কা, উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ার ভয় পাচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, একই সঙ্গে ঝড়, বন্যার ফলে শিবিরে আশ্রয় নিতে হবে বহু মানুষকে। সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টা মেনে চলা খুবই কঠিন। ফলে রাজ্যের মুখ্যসচিবদের উপকূলবর্তী এলাকায় আগে থেকেই 'হেলথ সেক্টর ইনসিডেন্ট কমান্ড সিস্টেম', ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম চালু করতে বলেছে কেন্দ্র। এই ক্ষেত্রে নোডাল অফিসার চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে সেই নম্বর পাঠিয়ে দিতে বলেছেন স্বাস্থ্যসচিব।


বিপদ থেকে বাঁচতে আগেই উপকূলবর্তী অঞ্চলে হসপিটাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে তামিলনাড়ু, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যসচিবদের পাশাপাশি আন্দামান নিকোবর আইল্যান্ডের প্রশাসনকে বিষয়টা দেখতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই যেন উপকূলের বসতি থেকে সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাওয়া হয় তার জন্য ডিএম প্ল্যান প্রস্তুত করতে বলেছেন স্বাস্থ্যসচিব।


ঘূর্ণিঝড়ের সময় কোভিড ছাড়াও ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া, ডায়েরিয়া, ডিসেনন্ট্রি, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগও বন্যার ফলে বাড়তে পারে। তাই আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে জেলা প্রশাসনকে। চিঠিতে সেই সতর্কীকরণও করা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।