নয়াদিল্লি: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়ার আগে যেন প্রত্যেককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয় নিশ্চিত করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু তাই নয়, দুর্যোগ পর্বে যেন বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত না হয়, সেই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে।
বাংলা-ওড়িশা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সতর্কবার্তা। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আজ প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন। সকাল ১১টা নাগাদ বৈঠক শুরু হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের আধিকারিক, এনডিএমের প্রতিনিধি, টেলিকম, বিদ্যুৎ, অসামরিক পরিবহণ, ভূতল পরিবহণ-সহ একাধিক দফতরের মন্ত্রীদের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বৈঠক শেষে নরেন্দ্র মোদি ট্যুইটারে লিখেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। যে সমস্ত এলাকায় প্রভাব পড়তে পারে সেখানকার বাসিন্দাদের সাহায্য করার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আটকে পড়া মানুষকে দ্রুত উদ্ধারের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে, তার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়-প্রভাবিত এলাকায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা যাতে ব্যাহত না হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকের সুরক্ষা এবং মঙ্গল কামনা করছি।
বৈঠক শেষে জানা যায়, ৪৬ টি এনডিআরএফ দল মোতায়েন করা হয়েছে। আজই বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শুরু করেছে ১৩টি দল। উদ্ধার কাজের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী ও ভারতীয় নৌবাহিনীকে। হেলিকপ্টার এবং জাহাজ নিয়ে তাঁরা প্রস্তুতি নিয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর বুধবার সন্ধেয় তা পারাদ্বীপ ও সাগর দ্বীপের মধ্যে দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। জানাল মৌসম ভবন। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় ৬ মিটার অর্থাৎ ২০ ফুট পর্যন্ত সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা। কাল, সোমবার থেকে শুরু বৃষ্টি। প্রবল বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। তার আগে আজ দুপুরের পর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও।