নয়াদিল্লি: উচ্চবর্ণের এক কৃষকের সঙ্গে সেচের জল ভাগ করতে রাজি হননি দলিত কৃষক। এই ‘অপরাধে’তার মাথা কেটে নেওয়া হল। পৈশাচিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বদাউনের দিন নগর শেখপুর গ্রামে।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে নিজের চাষের জমিতে জলসেচ করছিলেন নাথুলাল জাতভ। পাশের জমির কৃষক রূপ কিশোর সেসময় ঘটনাস্থলে আসে। সে নাথুলালকে বলে যেন জল তার ক্ষেতের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। নাথুলাল তাতে সায় না দিয়ে জানায়, তার জমিতে আরও জলের দরকার রয়েছে। এরপরই নাথুলালের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে রূপ কিশোর। এলোপাথাড়ি মারধরের পর হতক্লান্ত নাথুলালের মাথাটি ধড় থেকে আলাদা করে দেয় সে।
সবটা দেখে আশপাশের জমির কৃষকরা বাধা দিতে এসেও পালিয়ে যান। কারণ রূপ কিশোর ততক্ষণে প্রহৃত নাথুলালের উপরে কোদাল নিয়ে চড়াও হয়েছে। কোদালের কোপে শেষ করা হয় নাথুলালকে। বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
মৃতের ছেলে সাংবাদিকদের জানান, রবিবার রাত অবধি তাঁরা জমিতে চাষের কাজ করছিলেন৷ নাথু লাল ছেলেকে বাড়ি চলে যেতে বলেন৷ বাবার কথা শুনে তিনি বাড়ি চলে যান৷ কিন্তু অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পর নাথু লাল বাড়ি ফেরেননি৷ মঙ্গলবার সকাল সকাল ছেলে মাঠে গিয়ে দেখে,ন নাথু লালের মুন্ডহীন দেহ পড়ে রয়েছে মাটিতে৷ ছেলের অভিযোগ, এটা রূপ কিশোরের একার কাজ নয়৷ আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছে৷
মঙ্গলবার ময়না তদন্তের পর নাথুলালের মরদেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দলিত অধ্যুষিত গ্রাম এই দিন নগর শেখপুর। গ্রামের প্রায় ৭০ শতাংশ বাসিন্দাই আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত।
পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ ভার্মা জানান, ওমপালের অভিযোগের ভিত্তিতে রূপ কিশোরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তিনি বলেন, “বিলসি থানায় রূপ কিশোরের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনের আওতায় খুনের মামলা রুজু হয়েছে। খুনের পর উধাও হলেও তাকে ধরতে শুরু হয়েছে তল্লাশি। খুব শিগগির অপরাধী রূপ কিশোরকে আমরা গ্রেপ্তার করতে পারব।”