নয়া দিল্লি : দেশে মানুষ ও গবাদি পশুর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কমছে প্রাপ্য জলের পরিমাণ। ভারতে জল অপচয় রোধ নিয়ে আলোচনায় এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। মূলত, জলের অপচয় রোধে নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের কথা বলেন মন্ত্রী।


বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে 'ওয়ার্ল্ড সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট সামিটে' অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ''দেশে জলের শূন্য অপচয় পরিকল্পনায় নতুন প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে আমাদের। বিশ্বে বর্ষার জল সম্পদের তুলনায় ভারতের কাছে মাত্র ৪ শতাংশ জল রয়েছে। সেকারণে দেশে জল সংরক্ষণ ও তা পুনর্ব্যবহারের প্রাথমিক প্রয়োজন রয়েছে। ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় দেশবাসীর জন্য মাছা পিছু জলের পরিমাণ ছিল ৫০০০ লিটার। এখন যা ১১০০ লিটারে এসে ঠেকেছে। মানুষ ও গবাদি পশু বৃদ্ধির ফলে দেশে পর্যাপ্ত জলের পরিমাণ কমেছে।''


এই বলে থেমে থাকেননি কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ''দেশে কৃষিকাজের ফলেই ৮৫ শতাংশ জল চলে যাচ্ছে। তাই জল অপচয় রোধ করতে প্রথমেই কৃষিকাজের দিকে নজর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে আমাদের। যেমন জল ছেটানো, ক্ষরার জন্য জলসেচ বা ফোঁটায় ফোঁটায় জলসেচের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রয়োজনে জল অপচয় রোধে আরও উন্নত প্রযুক্তির আশ্র্য় নিতে হবে কৃষকদের।''


এই অনুষ্ঠানেই দেশের জল অপচয় রুখতে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের চুক্তির প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ''কেন-বিটবা চুক্তির ফলে প্লাবিত নদীর জল পাবে শুকনো নদীগুলি। ফলে দুই রাজ্যের নদীগুলির মধ্যে একটা জলের সমতা বজায় থাকবে। একই কাজ হচ্ছে গুজরাতেও। সেখানে দুটি নদীর মধ্যে জলের আদানপ্রদান চলছে। এই ধরনের প্রকল্পগুলি পরিবেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'' তবে জল সংরক্ষণে বনের ভূমিকা যে অন্যতম তা স্বীকার করে নিয়েছেন মন্ত্রী । তাঁর মতে, বেশিরভাগ নদীর উৎস বন থেকে। সেখানে নদীগুলি পূরণ করতে হবে। খাবার দিতে হবে বন্যপ্রাণীদের। নতুবা খাবার ও জলের অভাবে বার বার বাইরে বেরিয়ে আসবে পশুরা। অতীতে সেই উদাহরণ চোখে পড়েছে সবার।