Swami Chaitanyananda Swaraswati: অবশেষে গ্রেফতার স্বঘোষিত গডম্যান স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতী। আগ্রা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। অন্তত ১৭ জন মহিলাকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দিল্লির অভিজাত এলাকা বসন্ত কুঞ্জে রয়েছে একটি বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান। শ্রী সারদা ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্টে রয়েছে ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থাও। একপ্রকারের আশ্রম এটি। তারই ডিরেক্টর পদে আসীন ছিলেন স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতী। এই প্রতিষ্ঠানের সর্বেসর্বা ছিলেন তিনি। আর তাঁর বিরুদ্ধেই উঠেছে একের পর এক ন্যাক্কারজনক অভিযোগ। বেশ কিছুদিন ধরেই বেপাত্তা ছিলেন তিনি। একবার শোনা গিয়েছিল, আগ্রায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, গ্রেফতারি এড়াতে ছদ্মবেশে ঘুরছেন তিনি। এমনকি ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে মোবাইল বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেটও ব্যবহার করছিলেন না এই 'বাবা'। তবে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন তিনি। 

Continues below advertisement

অশালীন ভাষায় ছাত্রীদের আপত্তিকর মেসেজ করা, রাতবিরেতে নিজের ঘরে ডেকে পাঠানো, জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করা, বিনা খরচে বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখানো - একগুচ্ছ বিস্ফোরক অভিযোগ রয়েছে স্বামী চৈতন্যনন্দের বিরুদ্ধে। রবিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। স্বামী পার্থ সারথি নামেও পরিচিত তিনি। আগ্রার তাজ গঞ্জের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ব্যক্তিকে। ৫০ দিন ধরে পলাতক ছিলেন দিল্লির এই 'বাবা'। গত ৪ অগস্ট ভারতীয় বায়ু সেনাবাহিনীর সদর দফতর থেকে দিল্লির বসন্ত কুঞ্জের ওই প্রতিষ্ঠানে একটি অভিযোগ এসেছিল। তারপর থেকেই পলাতক ছিলেন স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতী। গ্রেফতারি এড়ানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে শেষরক্ষা হয়নি। পাকড়াও হয়েছেন এই অভিযুক্ত। 

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে সেখানে এক ছাত্রী দাবি করেছেন তিনি হস্টেলের সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন। স্বামী চৈতন্যনন্দ তাঁর এক্স-রে রিপোর্ট দেখতে চান। ছাত্রী স্বাভাবিক সময়ে মেসেজ করলেও জবাব আসে খুব অদ্ভুত সময়ে। সেই সঙ্গে স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতী ওই ছাত্রীকে আপত্তি করে মেসেজ করেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগ, "Baby," "I love you," "I adore you," - এইসব লেখা হয়েছিল মেসেজে। ছাত্রী জবাব না দেওয়ায় তাঁকে আবার মেসেজ ট্যাগ করে জিজ্ঞেস করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি ছাত্রীর অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের উচ্চস্তরের কয়েকজনকে জানিয়েও লাভ হয়নি। উল্টে শুনতে হয়েছে ছাত্রীর নাকি জবাব দেওয়া উচিৎ ছিল, অভিযোগ এমনই। এরপর ওই সমস্ত চ্যাট মুছে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। 

Continues below advertisement