দিল্লি সন্ত্রাসের ঘটনায় তদন্তকারীদের স্ক্যানারে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। ফরিদাবাদে টেরর মডিউলের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক মুজাম্মিল শাকিল, যিনি আবার দিল্লি বিস্ফোরণের সন্দেহভাজন মূল চক্রী উমর উন নবির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছিল উমর। দিল্লি বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। উমর এবং মুজাম্মিল ২ জনেই জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা। এই মুজাম্মিল নাকি ভয়ঙ্কর তথ্য দিয়েছেন তদন্তকারীদের, যা শুনে শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত নেমে যাবে। এনডিটিভির একটি প্রতিবেদনে সেই তথ্য দেওয়া হয়েছে একটি সূত্রের উপর ভিত্তি করে।                

Continues below advertisement

অন্যতম সন্দেহভাজন মুজাম্মিল তদন্তকারীদের নাকি জানিয়েছেন যে, সে ও  উমর লাল কেল্লায় বারার রেকে করে। সূত্রের খবর, মুজাম্মিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । তার ফোনের  সব ডেটা থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে হাড়হিম করা তথ্য।  মুজাম্মিল জানিয়েছে, দীপাবলি বা  ২৬ জানুয়ারিতে বড়সড় কিছু ঘটানোর জন্য পরিকল্পনা করছিল তারা।  এর জন্য তারা লাল কেল্লার আশেপাশের সব এলাকায় রেকে করেছিল। এনডিটিভি একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে,  মুজাম্মিল পুলিশের কাছে দাবি করেছে, গত দীপাবলিতে কোনও একটি জনাকীর্ণ স্থানে তাদের হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত করা যায়নি।        

অন্যদিকে , দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে গুলিবৃষ্টির জন্য উপযুক্ত জোড়া কার্তুজ । এছাড়া ২ ধরনের বিস্ফোরকের নমুনা উদ্ধার করেছে ফরেন্সিক দল। মোট ৪২ ধরনের নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক টিম। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রথম বিস্ফোরক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো, অন্য নমুনার পরীক্ষা এখনও চলছে। ফরেন্সিক ল্যাবে চলছে সমস্ত ধরনের নমুনা পরীক্ষা। ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই মিলবে বিস্তারিত রিপোর্ট, খবর সূত্রের।  সূত্রের দাবি, উগ্রপন্থায় বিশ্বাসী এইসব ডাক্তারদের এই দলটি এনক্রিপ্টেড চ্যানেল ব্যবহার করত।  সামাজিক ও দাতব্য কাজের আড়ালে চলত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ছক। পেশাদার এবং অ্যাকাডেমিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা চলত।                   

Continues below advertisement

উরি-পাঠানকোট-পুলওয়ামা-পহেলগাঁও - একের পর এক জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হচ্ছে দেশ! এর শেষ কোথায়? কীভাবে? কীভাবে জঙ্গিদের চিরতরে শেষ করা যাবে? আর কত নিরীহ দেশবাসীর রক্ত ঝরবে?