নয়াদিল্লি: শ্রদ্ধা ওয়াকার (Shraddha Walkar Murder) খুনে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aftab Poonawalla) উপর পলিগ্রাফ পরীক্ষার (Polygraph Test) জন্য অনুমতি (permission) দিল্লির (delhi) সাকেত কোর্ট (saket court)। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে দিল্লি পুলিশের আর্জি মেনে নিয়েছে আদালত। তবে পরীক্ষার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। হালে আফতাবের নার্কো টেস্টেও অনুমতি মিলেছিল। তদন্তকারীদের দাবি, তার বয়ানে বহু অসঙ্গতি রয়েছে। একাধিক বার নানা কথা বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেছে অভিযুক্ত, খবর এমনই। 


এখনও অধরা...
তদন্তে এখনও পর্যন্ত যা উঠে এসেছে তা হাড় হিম করে দেওয়ার মতো। পুলিশের দাবি, লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে মাসছয়েক আগে খুন করেছিল আফতাব। এতেই শেষ নয়। অপরাধ লুকোতে দেহ টুকরো টুকরো করে একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৩টি হাড় এবং চোয়ালের একাংশের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেগুলি শ্রদ্ধারই দেহাংশ কিনা জানতে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। তবে যত দ্রুত সম্ভব, ঘটনার বিবরণ জানা দরকার বলে মনে করছে পুলিশ। নার্কো-টেস্ট এবং পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন সেই জন্যই।

পলিগ্রাফ কী?
সোজা করে বললে কিছু নির্দিষ্ট শারীরবৃত্তীয় সূচক দেখে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সত্যি নাকি মিথ্যা বলছেন সেটি যাচাই করার প্রক্রিয়া।  রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেশার, পালস, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতিবিধি এবং ত্বকের নির্দিষ্ট কিছু সূচক মাপা হয় এই পরীক্ষায়। অনেকে এটিকে 'লাই ডিটেক্টর' টেস্ট নামেও জানেন। ১৯২৪ সাল থেকে পুলিশি তদন্তে এর ব্যবহার চলে আসছে। তবে এই পরীক্ষার প্রয়োগ কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে মনোবিদদের মধ্যেই বিতর্ক রয়েছে। বহু সময়ে বিচারবিভাগও পলিগ্রাফ পরীক্ষার ফলাফল মানতে চায় না।  

কী ঘটেছিল...
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মুম্বইয়ে এক ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল শ্রদ্ধা-আফতাবের। তিন বছর ধরে তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এবং দিল্লিতে এসে থাকতে শুরু করেন। দিল্লিতে চলে আসার পরই শ্রদ্ধা ওই যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। পুলিশের তরফে দাবি, দু'জনের মধ্যে প্রায়ই বিয়ে নিয়ে সমস্যা হত। গত ১৮ মে-র সম্ভভত রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আফতাব। অভিযুক্ত জানিয়েছে, এর পর  প্রেমিকার দেহ টুকরো করে আশেপাশে ছত্রপুর এনক্লেভের জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলে দিয়ে আসে। তদন্তের শুরুর দিকে মৃতার শেষ লোকেশন পাওয়া গিয়েছিল দিল্লিতে। তার ওপর ভিত্তি করেই মামলাটি দিল্লি পুলিশের কাছে হস্তান্তরিত করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।


আরও পড়ুন:আজ কখন, কোথায় দেখবেন ইংল্য়ান্ড বনাম ইরান ম্যাচ?