নয়াদিল্লি : এক খুনের ভয়াবহতার রেশ এখনও কাটেনি, তার মাঝেই ফের করা খুন ও দেহ টুকরো টুকরো করার আরও এক হাড়হিম করার ঘটনা সামনে এল। ফের দিল্লি। পুলিশ সূত্রে খবর, ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করেন স্ত্রী। তারপর দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। যে দেহাংশ রেখে দেওয়া হয় ফ্রিজে।


তারপর একে একে দেহের অংশগুলো ফেলা হয় শহরজুড়ে। পূর্ব দিল্লির পাণ্ডব নগরের যে ঘটনায় এমনই এক দেহাংশ ফেলার ভিডিও-ও সামনে এসেছে। যা দেখে শিউরে উঠছে গোটা দেশ। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নরেন্দ্রপুরে প্রাক্তন নৌ-সেনাকে একই কায়দায় খুন করে দেহ খণ্ড-খণ্ড করে সেগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন জায়গায়।- ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মহিলা ও তাঁর ছেলেকে। অভিযুক্তদের জেরা করা করে মিলেছে এই তথ্য, জানিয়েছে দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন ত্রিলোকপুরীর বাসিন্দা অঞ্জন দাস। খোঁজে নেমে একে একে বিভিন্ন তথ্য উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতের স্ত্রী পুনম ও ছেলে দীপককে।


 






 


বান্ধবীকে ৩৫ টুকরো যুবকের


দিল্লির মেহরৌলিতে ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনও তোলপাড় দেশ। লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা সঙ্গীর দেহ টুকরো টুকরো করে ১৮ দিন ধরে তা জঙ্গলে ফেলে দেয় আফতাব আমিন পুনাওয়ালা । সূত্রের খবর, প্রত্যেকদিন রাত ২টোর সময় অভিযুক্ত যুবক বাড়ি থেকে বেরিয়ে জঙ্গলে দেহের টুকরো ফেলতে যেতেন। অভিযোগ গোটা ঘটনার সূত্রপাত, ঝগড়া থেকে। অভিযুক্ত ১৮ মে তাঁর লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারের গলা টিপে ধরেন। এরপর তাঁর দেহকে ৩৫ টুকরো করেন। সূত্রের খবর সেই টুকরো রাখার জন্য ৩০০ লিটার ওজনের একটি ফ্রিজও কেনেন নাকি যুবক। এরপরের ১৮ দিন ধরে, তিনি মেহরৌলির জঙ্গলের (Mehrauli forest ) বিভিন্ন এলাকায় টুকরোগুলি ফেলতে থাকেন বলেও খবর। যে ঘটনায় একের পর এক তথ্য সামনে আসে।


আরও পড়ুন- ঠান্ডা মাথায় খুন! আগে থেকে চেনা যায়? আদৌ সম্ভব? কী বলছেন মনোবিদ?


বারুইপুর কাণ্ড


কিছুদিন আগেই মাকে সঙ্গে নিয়েই শৌচাগারে বাবার দেহ টুকরো করে ছেলে। করাত দিয়ে ৬ টুকরো করা হয় দেহ। তিনবারে সরানো হয় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহাংশ। প্রথমবার মাকে নিয়ে সাইকেলে চাপিয়ে দেহাংশ পুকুরে ফেলে আসে ছেলে। পরে আরও দু’ বার একাই সাইকেলে দেহাংশ নিয়ে ফেলে আসে ছেলে জয়, খবর সূত্রের।