নয়াদিল্লি: বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলির ফল সত্যি করে দিল্লিতে প্রবলভাবে ফিরছে ঝাড়ু। শেষদিকে প্রচারে ঝড় তুললেও বিজেপি সুবিধে করতে পারেনি। অনেকে বলছেন, তারা আগে থেকেই জানত, দিল্লি হারবে, তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বদলে মূলত সামনে রেখেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে, যাতে মানুষের চোখে মোদী ম্যাজিক না ক্ষুণ্ণ হয়।


কিন্তু ট্রেন্ডে স্পষ্ট, অমিত শাহের ঝোড়ো প্রচারে বিজেপির পারফরম্যান্স ২০১৫-র ভোটের থেকে অনেক ভাল হয়েছে। ২০১৪-য় লোকসভা ভোটে ক্লিন সুইপের পরের বছরই দিল্লিতে মুখ থুবড়ে পড়ে পদ্মের ঝড়। ৭০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৩টি পায় তারা, ৬৭টি যায় নবাগত আপের দখলে। কিন্তু এবারে দেখা যাচ্ছে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১২টি আসনে, আপ এগিয়ে ৫৮টিতে। বেশ কয়েকটি আসনে ভোটের ব্যবধান ১০০-র কম, ফলে যে কোনও দিকে ফল ঢলতে পারে।

রাজধানী জয়ের লক্ষ্যে নেমে ২ সপ্তাহে ৩৫টি মিছিল ও ৯টি রোড শোর নেতৃত্ব দেন শাহ, চেষ্টা করেন, লড়াইটা আপের ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়ার। তাঁর পরিশ্রমের ফল ভোটের বাক্সে পরিষ্কার। তিনি যে সব কেন্দ্রে প্রচার করেছেন সেগুলির ট্রেন্ড দেখুন-

আউটার দিল্লি এলাকায় বিজেপি বাওয়ানা কেন্দ্রে এগিয়ে।

মধ্য দিল্লিতে এগিয়ে ত্রিনগর কেন্দ্রে।

পূর্ব দিল্লিতে বিজেপি এগিয়ে ঘোন্ডা, কারাওয়াল নগর, কৃষ্ণা নগর ও রোহতাস নগর কেন্দ্রে।

এছাড়া বিশ্বাস নগর কেন্দ্র, যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী প্রচারে নামেন, সেখানেও পদ্ম ফোটার সম্ভাবনা।