নয়াদিল্লি: দিল্লিতে নিক্কি যাদবের (Nikki Yadav Murder Case) খুনের মামলায় নয়া মোড়। নিক্কি যাদব ও অভিযুক্ত সাহিল গহলৌত লিভ-ইন পার্টনার ছিল বলে মনে করছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে তাঁরা আদৌও লিভ-ইন পার্টনার ছিলেন না। বছর তিনেক আগে বিয়ে করেছিলেন নিক্কি ও সাহিল। বছর তিনেক আগে একটি মন্দিরে তাঁরা বিয়ে করেন বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে। কিন্তু সেই বিয়ের কথা ওই দুজন নিজেদের বাড়িতে জানাননি। 


সূত্রের খবর, প্রথমে ওই দুইজন তাঁদের বাড়িতে বিয়ের কথা জানাননি। পরে বিয়ের কথা জানতে পারে সাহিলের পরিবার। জানার পরেই তার চরম বিরোধিতা করে সাহিলের পরিবার। তারপরেই অন্য কারও সঙ্গে সাহিলের বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার। তার থেকেই সাহিল ও নিক্কির মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। সেই ঝামেলার কারণেই এমন ঘটনা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি বচসার পরে নিক্কিকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সাহিলের বিরুদ্ধে। তারপরে নিক্কির নিথর শরীর ঘরের ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিল সাহিল, অভিযোগ এমনটাই। 


পরিবারের ভূমিকা:
খুনের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে তদন্তে  নেমে সাহিলের বাবা বীরেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখা। গ্রেফতার করা হয়েছে সাহিলের তুতো ভাই আশিস ও নবীনকে এবং সাহিলের দুই বন্ধু লোকেশ ও অমরকে। এদের মধ্যে ধৃত নবীন দিল্লি পুলিশের কন্সটেবল পদে কর্মরত। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতরা দেহ লোপাটের পরিকল্পনা করেছিল। খুনের দিনই বিয়ে করেছিল সাহিল। ধৃতদের পরিকল্পনা ছিল তারপরেই দেহ লোপাট করে দেওয়া হবে।


পুলিশ সূত্রের খবর, সাহিলের বাবা পুরো ঘটনাটাই গোড়া থেকে জানতেন। তারপরেও নিক্কিকে খুনের কয়েক ঘণ্টা পরেই সাহিলের সঙ্গে বিয়ে দেন তিনি। আর অন্যরা দেহ লুকিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।


কী বলছে পুলিশ:
দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) স্পেশাল কমিশনার (ক্রাইম) বলেন, 'জেরার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি নিক্কি ও সাহিল গ্রেটার নয়ডার আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করেছিল। ২০২০ সালের ১ অক্টোবরের শংসাপত্র আমাদের হাতে এসেছে। যখন নিক্কি সাহিলের বিয়ের কথা জানতে পারে তখন বাধা দিয়েছিল। আমাদের সন্দেহ তারপরেই এই খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সাহিল নিক্কিকে নিয়ে গিয়ে খুন করে। এদিকে পরিবার বিয়ের জন্য সাহিলকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। যখন খোঁজ পায় তখন তারা খুনের বিষয়ে জানতে পারে। তারপরেই নিক্কির দেহ এনে ধাবার ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়।'


আরও পড়ুন: বাকিদের দেখাদেখি বিপুল কর্মী ছাঁটার পথে নাকি তারাও! জল্পনা খারিজ করে সুখবর শোনাল TCS