নয়াদিল্লি :  ভারত ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে বর্ষা। এবার সময়ের একটু আগেই এসেছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। তাই কালো মেঘের অপেক্ষায় এখন দিন কাটছে মানুষের। প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে দেশের কয়েকটি রাজ্য স্বস্তিও পেয়েছে। তবে এখনও তাপে পুড়ছে রাজধানী দিল্লি। একদিকে ভোটের মরসুমে রাজনৈতিক তরজার পারদ চড়ছে, সেই সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে তাপমাত্রাও। 


'রেড অ্যালার্ট'


দিল্লির কয়েকটি জায়গায় তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। কয়েকটি এলাকায় আবারও পারদ ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, পরের পাঁচ দিনের ভয়াবহ তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হবে দিল্লিবাসী। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) সেসব এলাকায় 'রেড অ্যালার্ট' ঘোষণা করেছে। 


শুধু দিল্লি নয়, উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে টানা তাপপ্রবাহ চলতে পারে। আবহাওয়া দফতর  দিল্লি ছাড়াও লাল সতর্কতা জারি করেছে মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশের বেশ কিছু এলাকায়। দেশের মধ্যে আপাতত সবথেকে বেশি উষ্ণ দিল্লিই। তবে দক্ষিণের রাজ্য গুলিতে ধীরে ধীরে বর্ষার প্রভাব বাড়বে। 


বিদ্যুতের চাহিদা তুঙ্গে
প্রবল তাপপ্রবাহে বাড়ছে স্বাস্থ্য সমস্যা। বারবার হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্য সতর্ক করছেন ডাক্তাররা। অন্যদিকে হু হু করে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। বাতানুকূল যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতেও টান পড়েছে দিল্লিতে।  এর ফলে বাড়তে পারে লোড শেডিং। মে মাসে দেশের রাজধানীর বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সাম্প্রতিক অতীতে সর্বোচ্চ। যে সব স্কুল এতদিন খোলা ছিল, সেগুলি অবিলম্বে বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। 


তাপমাত্রার ওঠা-নামা
গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা বাড়ছে দিল্লির। রবিবার ছিল এই গ্রীষ্মের সবথেকে গরমের দিন। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  শনিবার, তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 


সোমবার দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩.৭ ডিগ্রি বেশি। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির নাজাফগড়ে সোমবার তাপমাত্রা প্রায় ৪৮ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়।  মুঙ্গেশপুরে তাপমাত্রা ৪৭.১ ডিগ্রি, আয়া নগর ৪৫.৭ ডিগ্রি। 


তীব্র গরমের হাত থেকে কচিকাঁচাদের রেহাই দিতে সব স্কুলকেই ৩০ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লির শিক্ষা দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সব স্কুলে যেন ১১ মে থেকে ৩০ জুন গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং অনুদানপ্রাপ্ত স্বীকৃত বেসরকারি স্কুলগুলি তীব্র তাপপ্রবাহের সময় খোলা ছিল। 


আরও পড়ুন :
তৈরি ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি ! কবে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় রেমাল?