নয়াদিল্লি: দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। মূলত দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই।বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মার সিঙ্গল বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে বলেছে, প্রভাবশালী অবস্থানের প্রেক্ষিতে, সাক্ষীদের বেশিরভাগ সরকারি কর্মচারী হওয়ায় সাক্ষ্য কারচুপির বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।


গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিবিআই গ্রেফতার করেছিল মণীশ সিসোদিয়াকে। রাজধানীতে মদ নিয়ে নতুন নিয়ম তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকজন ডিলারকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই আপ নেতার বিরুদ্ধে। দলের তরফে যদিও যে কোনও ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে বিজেপির দাবি, যদি সত্যি নতুন নিয়মে কোনও ভুলত্রুটি না থাকত তা হলে আপ কি এই নিয়ম প্রত্যাহার করত? প্রসঙ্গত, এই মামলাতেই আরও রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। 


 টানা ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয় দিল্লির উপ মুখ্য়মন্ত্রীকে। মণীশ সিসোদিয়াকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীকে ইডি-র এই গ্রেফতারির সিদ্ধান্তে হইচই পড়ে গিয়েছে রাজধানীর অন্দরমহলে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে দাঁড়াল সিসোদিয়ার পক্ষেও। মণীশ শিসোদিয়াকে গ্রেফতারের ঘটনায় দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে আম আদমি পার্টি। ভোপাল, চন্ডীগড়, দিল্লিতে চলছে বিক্ষোভ।


সম্প্রতি দিল্লিতে আপের সদর দফতরের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন আপ সমর্থকরা। গোটা দিল্লি জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছিল। সিবিআই-এর দাবি, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই সিসোদিয়া এবং দিল্লি সরকারের অভিযুক্ত আধিকারিকরা আবগারি নীতি ২০২১-'২২ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টেন্ডার পেয়ে যাওয়ার পর অন্যায় ভাবে কিছু লোককে সুবিধা পাইয়ে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল তাঁদের।               


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


সম্প্রতি মণীশের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেইসময় তল্লাশি চালানো হয় সাত রাজ্যের আরও ৩১ জায়গায়। সিবিআই-এর দায়ের করা এফআইআর-এ অভিযুক্তদের তালিকায় একেবারে শীর্ষে নাম রয়েছে মণীশের। ১১ পাতার রিপোর্টে দুর্নীতি, অপরাধমূলক ষড়য়ন্ত্র এবং ভুয়ো নথি তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছিল। মণীশের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করা হয়েছিল। লুক আউট সার্কুলার জারির অর্থ, অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। কোথাও কোনও নিয়ম লঙ্ঘন চোখে পড়লে তাঁকে আটক করা হবে সঙ্গে সঙ্গে। তাতেই কেন্দ্রকে একহাত নেন মণীশ। ট্যুইটারে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেন তিনি।