এছাড়া আজ জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ সহ ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এঁরা হলেন পঙ্কজ মিশ্র, ভাস্কর বিজয়, সুচেতা তালুকদার, চুনচুন কুমার, দোলন সামন্ত, প্রিয়া রঞ্জন, যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ ও বিকাশ প্যাটেল। এঁদের ২ জন এবিভিপির, বাকিরা বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। যোগেন্দ্র হলেন ইউনিটি এগেন্স্ট লেফট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন। বেলা ১১টা নাগাদ কমলা মার্কেট ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসে তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশের হাতে এখনও যে তথ্য এসেছে তাতে স্পষ্ট, ৫ তারিখের হিংসা ছড়ানোর পিছনে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বড় ভূমিকা রয়েছে। পেরিয়ার হস্টেলে হামলার পরেই তড়িঘড়ি তৈরি হয় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, নাম রাখা হয় ইউনিটি এগেন্স্ট লেফট। অ্যাডমিন ছিলেন জেএনইউয়ের এবিভিপি নেতা যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ। গ্রুপে ছিলেন মোট ৬০ জন। এই গ্রুপের মাধ্যমেই যোগেন্দ্র ও বিকাশ প্যাটেলের আলাপ হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কোমল শর্মা ছাড়াও তারা চিহ্নিত করতে পেরেছে আকাশ অবস্থি ও রোহিত শাহ নামে দু’জনকে। এঁরা এবিভিপির সঙ্গে যুক্ত, সেদিনের হিংসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও এঁদের দলীয় সদস্য হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে এবিভিপি। আরও একটি টেপ প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে আইসা সদস্য গীতা কুমারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার রুম বন্ধ করার ঘটনায় নিজের যোগদানের কথা মেনে নিচ্ছেন।