নয়াদিল্লি: গ্রেফতার গত কালের সংসদে হানায় অন্যতম অভিযুক্ত ললিত ঝা (Lalit Jha Arrested), খবর দিল্লি পুলিশ সূত্রে। বৃহস্পতিবার রাতে, অভিযুক্ত স্বয়ং দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বলে খবর। ললিতের আগে সংসদে হানায় এক মহিলা-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা, গোটা অধ্যায়ের 'মাস্টারমাইন্ড' এই ললিত। তাঁর সঙ্গে কলকাতা-যোগও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।


কী জানা গেল?
গত কাল, বুধবার, সংসদে হানার পর থেকেই খোঁজ ছিল না ললিতের। পুলিশ তাঁকে তন্ন তন্ন করে খোঁজা শুরু করে। আজ রাতের দিকে রাজধানীর কর্তব্যপথ পুলিশ স্টেশনে আত্মসমর্পণ করেন ললিত। তার পরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এর আগে যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত দেয় আদালত। ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ছাড়াও বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ধৃত ললিত ঝা সম্পর্কে ইতিমধ্যে কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, কলকাতার গিরিশ পার্কের একটি বাড়ির একতলায় আস্তানা ছিল তাঁর। করতেন গৃহশিক্ষকতাও। কিন্তু পড়শিদের দাবি, দেড় বছর আগে আচমকা বেপাত্তা হয়ে যান তিনি।


ললিত সম্পর্কে...
২১৮ নম্বর রবীন্দ্র সরণি। পুলিশ সূত্রে খবর, গিরিশ পার্ক থানা এলাকার এই তিনতলা বাড়ির নীচের তলায়, একচিলতে ঘরে ভাড়া থাকতেন সংসদে স্মোক-ক্য়ান হামলাকাণ্ডে ধৃত ললিত ঝা! যিনি কিনা, সংসদের বাইরে, ধোঁয়া-স্লোগানের ভিডিও রেকর্ড করছিলেন বলে দাবি। শুধু তাই নয়। শোনা যাচ্ছে, সেই ভিডিও হোয়াটসঅ্য়াপে পাঠানো হয় বিধাননগর গভর্নমেন্ট কলেজের ইংরেজি অনার্সের ছাত্র নীলাক্ষ আইচকে। আশ্চর্যজনক ভাবে বছর দেড়েক আগে , গিরিশ পার্কের এই বাড়ি থেকে বেপাত্তা হয়ে যান ললিত। গিরিশ পার্কে, ললিতের একসময়ের পড়শিদের দাবি, লকডাউনের পর, প্রায় দেড় বছর এই বাড়িতে ছিলেন তিনি। কারও সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা করতেন না। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সেভাবে কখনও কথা বলতেও দেখা যায়নি তাঁকে। তবে, সন্ধেবেলা তাঁর কাছে পড়াশোনা করতে আসত বেশ কিছু বাচ্চা। খোঁজ নিতে গিয়ে উঠে আসে, আরও একটি ঠিকানা। ৫৯, মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট। এটি ছিল ললিতের বাবা দেবানন্দ ঝা-র ঠিকানা। তবে ৫-৬ বছর আগেই তাকে শেষ দেখেছিলেন এলাকাবাসীরা। গ্রাউন্ড ফ্লোরের ওই ঘরে এখন তালা ঝুলছে। শোনা যায়, লকডাউনের পর, মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটের এই আস্তানা ছেড়ে বাগুইআটির কোনও এক ঠিকানায় চলে যায় ললিতের পরিবার। 


আরও পড়ুন:'কোনও রক্ষণাবেক্ষণই হত না' বর্ধমানের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ যাত্রীদের