নয়া দিল্লি: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ফের প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল ও বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড উমর-উন-নবির ডায়েরির হদিশ পেল পুলিশ। ডায়েরিতে সাঙ্কেতিক ভাষায় লেখা বহু তথ্য। সঙ্কেত ডিকোড করলে আঁচ মিলতে পারে জঙ্গিদের গোপন পরিকল্পনার, এমনটাই জানা গিয়েছে। 

Continues below advertisement


সূত্রের খবর, ডায়েরিতে ৮ থেকে ১২ নভেম্বরের বিশেষ উল্লেখ ছিল। বিস্ফোরণ ঘটেছে ১০ নভেম্বর, ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে আর কী পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের? ওই ডায়েরিতেই রয়েছে ২৫ জনের নাম। দলের বাকিরা কোথায়? চলছে খোঁজ। 


এই ২৫ জনের বেশিরভাগ জম্মু-কাশ্মীর এবং ফরিদাবাদের বাসিন্দা। তদন্তকারীদের অনুমান, বেশ কয়েকদিন ধরেই সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করছিল অভিযুক্তরা। 


দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিল ৮ জন। চারটি শহরে একই সময়ে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল। ২ জন করে চারটি দলে ভাগ হয়ে বিস্ফোরণের ছক জঙ্গিদের। ওই চার শহরে রেকিও করেছিল জঙ্গিরা। প্রতিটি দলের কাছে একাধিক IED রাখারও পরিকল্পনা, খবর সূত্রের। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও এক চিকিৎসককে আটক করেছে কানপুর ATS। আটক চিকিৎসকের নাম আরিফ। আরিফ কানপুর মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিল।


জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণের দিন শাহিন শাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আরিফ। শাহিনের ভাইয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ আরিফের। কানপুর থেকে পালানোর সময় আটক আরিফ। দিল্লিতে এখনও পর্যটকদের জন্য বন্ধ লালকেল্লা ও লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন। 


অন্যদিকে, দিল্লির লালকেল্লায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের আগে অর্থ সংগ্রহ করছিল ডক্টরর্স গ্যাং, তদন্তে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে অভিযুক্ত চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল, আদিল আহমেদ রাথরে, শাহিন শাহিদ ও উমর-উন-নবি যৌথভাবে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছিল।


বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড উমর-উন-নবির হাতে পরে পুরো টাকা তুলে দেওয়া হয়। IED তৈরির জন্য গুরুগ্রাম ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে ২০ কুইন্টালের বেশি এনপিকে সার কেনা হয়, যার দাম ৩ লক্ষ্য টাকা। টাকার হিসেব নিয়ে উমর-উন-নবির সঙ্গে মুজাম্মিল শাকিলের বিরোধ বেঁধেছিল বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। বিস্ফোরণের আগে একটি অ্যাপে ২ থেকে ৪ জনের গ্রুপ খুলেছিল মাস্টারমাইন্ড উপর। অন্যদিকে বিস্ফোরণের জন্য i20 ও লাল ইকো স্পোর্টস গাড়ি ছাড়া আরও ২টো গাড়ি প্রস্তুত করা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে।