নয়াদিল্লি : বাতাসের গুণগত মান শনিবার আরও খারাপ পর্যায়ে পৌঁছাল দিল্লিতে। শহরের একাধিক এলাকায় বাতাসের গুণগত মানের সূচক  ছিল ৪০০-র বেশি। এই স্তরকে 'গুরুতর' ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সার্বিকভাবে বিষাক্ত কুয়াশা রাজধানীকে 'রেড জোনে' ঠেলে দিয়েছে। যার জেরে এটি দেশের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। Central Pollution Control Board-এর তথ্য অনুসারে, বিকাল ৪টে নাগাদ দিল্লির ২৪ ঘণ্টার AQI গড় ছিল ৩৬১। যার জেরে দিল্লি দেশের সবথেকে দূষিত শহরগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে। শুক্রবার অবশ্য, শহরের AQI ছিল ৩২২। সেই সময় যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

Continues below advertisement

শহরের ৩৮টি মনিটরিং স্টেশনের মধ্যে, বেশ কয়েকটি এলাকায় দূষণের মাত্রা নির্দিষ্টভাবে বেশি ছিল। CPCB-র সমীর অ্যাপ অনুসারে, ওয়াজিরপুরে একিউআই ৪২০ ছুঁয়ে যায়, বুরারিতে ৪১৮, বিবেক বিহারে ৪১১, নেহরু নারে ৪০৬, আলিপুরে ৪০৪ এবং আইটিওতে ৪০২ ছুঁয়েছে - সবগুলোই 'গুরুতর' পরিসরে পড়ে। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল অঞ্চলও খারাপ বায়ু মানের মুখোমুখি হচ্ছে। নয়ডায় ৩৫৪, গ্রেটার নয়ডায় ৩৩৬ এবং গাজিয়াবাদে ৩৩৯ একিউআই রেকর্ড করা হয়েছে। এগুলো সবই 'খুব খারাপ' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।  

সুপারিশ জানিয়েছিল কেন্দ্র। সায় ছিল দিল্লি সরকারেরও। শেষ পর্যন্ত সবুজ বাজিতে অনুমোদন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দীপাবলিতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সবুজ বাজি পোড়ানো যাবে বলে নির্দেশ ছিল। কিন্তু দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর হিড়িকে শিকেয় ওঠে যাবতীয় নির্দেশ-আদেশ। সবুজ বাজির পরিবর্তে দেদার নিষিদ্ধ বাজি ফাটে রাজধানীতে। শব্দবাজির দাপটে কানপাতাই দায় হয়। পরের দিন সকালে যখন ঘুম ভাঙে দিল্লিবাসীর, চোখের সামনে শুধুই ধোঁয়াশা, দমবন্ধ হয়ে আসার জোগাড়। দীপাবলিতে বাজির দৌরাত্মে রাজধানীর বাতাস একধাক্কায় বিষে পরিণত হয়ে ওঠে সূচকে।

Continues below advertisement

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানায়, দিল্লির বুকে ২০২৫ সালের দীপাবলিই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। ২০২৪ সালের দীপাবলির পর সেখানকার বাতাসের গুণমান সূচক ছিল ৩২৮, ২০২৩ সালে ছিল ২১৮ এবং ২০২২ সালে ছিল ৩১২-তে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল ওয়াজিরপুর এবং জহাঙ্গিরপুরীতে, ৪০৮। বুরারি ক্রসিংয়ে ৪০৫ এবং শাদিপুরে বাতাসের গুণমান ছিল সূচক ছিল ৩৯৯-তে। NSIT দ্বারকা, অশোক বিহার, মুন্দকাতেও দূষণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি ছিল। মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়াম, আরকে পুরমেও শ্বাস নিতে বেগ পেতে হচ্ছিল সাধারণ মানুষকে।