নয়াদিল্লি: শীতের আগমন ঘটলেও, হাড় কাঁপানো ঠান্ডার দেখে এখনও পাননি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। কিন্তু রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি একেবারে উল্টো। শুক্রবার মরশুমের শীতল দিন সেখানে। একধাক্কায় দিল্লির তাপমাত্রা নেমে গেল অনেকটাই। আজ সেখানকার তাপমাত্রা ৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই মুহূর্তে এত ঠান্ডা নেই শিমলাতেও। (Delhi Temperature Today)


শুক্রবার সকালেই দিল্লির তাপমাত্রা একধাক্কায় ৫ ডিগ্রির নিচে নেমে যায়। সেই নিরিখে আজ শিমলার তাপমাত্রপা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল, যা আজ ২৪ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আজ শিমলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে বলে অনুমান আবহবিদদে। (Delhi Weather Updates)


এর আগে, বৃহস্পতিবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল পর্যন্ত চলতি মরশুমের শীতলতম ছিল। একদিনের মধ্যেই তা আরও কমে গেল। তবে রাজধানীতে তাপমাত্রার এই ওঠানামা চলছে গত কয়েক দিন ধরেই। বুধবার সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল সোমবার।


আরও পড়ুন: Amit Shah: নিরাপত্তায় গাফিলতি মানলেও, লোকসভায় তাণ্ডবের ঘটনায় বিরোধীদের নিশানা শাহের


শীতের মরশুমে দিল্লির এমন আবহাওয়া যদিও অস্বাভাবিক নয়। শীতকালে দিল্লির তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রির নিচেও নেমে যায়। পড়শি রাজ্য হরিয়ানার হিসারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। এদিন পঞ্জাবের অমৃতসরের তাপমাত্রা ৫.৪, পটিয়ালার ৭.২, চণ্ডীগড়ের ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজস্থানের চুরুতে আজ তাপমাত্রার পারদ ৭.৪ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। উদয়পুরের তাপমাত্রা ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


জাঁকিয়ে শীত পড়ার আগে দূষণ সবচেয়ে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল দিল্লিতে। তবে পারদ পতনের পরও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। শুক্রবার সকালে দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল 'অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর'।বাতাসের গুণমান সূচক ২৫০-র উপরে ছিল।  আনন্দ বিহারে আবার গুণমান সূচক ছিল ৪৭৫, যা 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বুধবার সকালেও দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক ছিল ৩৫৮, 'অত্যন্ত ক্ষতিকর'।


দিল্লির মোটামুটি সর্বত্রই এমন পরিস্থিতি। ঠান্ডা যেমন বাড়ছে, তেমনই ধোঁয়াশার প্রকোপও দেখা যাচ্ছে। শুধু দিল্লিই নয়, উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় এমনই পরিস্থিতি। এর ফলে দৃশ্যমানতা কমতে শুরু করেছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরার একাধিক অঞ্চলে ঘন কুয়াশার আস্তরণ চোখে পড়েছে এদিন সকালে।