নয়াদিল্লি: প্রতি মাসের প্রথম ৫ দিন দিল্লি জুড়ে রক্তের নমুনা জোগাড় করবে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার। আগামী মাস থেকে শুরু হবে এই প্রক্রিয়া। রাজধানীতে করোনা কতটা ছড়িয়েছে তা বুঝতেই এই সমীক্ষা বলে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন।


দিল্লি সরকার জানতে চায়, শহরে হার্ড ইমিউনিটি আদৌ দেখা দিয়েছে কিনা, যেভাবে করোনা প্রতিরোধের কাজ চলছে,তাতে কোনও রদবদল প্রয়োজন কিনা।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা এনসিডিসি তাদের প্রথম সেরোলজিক্যাল স্টাডির ফল ঘোষণা করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির ২১,৩৮৭ জনের মধ্যে ২২.৮৬ শতাংশ করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন এবং সেরে উঠেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁরা জানতেই পারেননি, যে তাঁরা করোনা আক্রান্ত। সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, দিল্লিতে এখনও হার্ড ইমিউনিটি দেখা দেয়নি। তা হলে অসুস্থদের মধ্যে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে উঠতেন। এর আগের সার্ভেয় বোঝা গিয়েছে, মধ্য জুন পর্যন্ত ২৩ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, কারণ অ্যান্টিবডি তৈরি হতে ১৫ দিনের মত লাগে। ১ মাসের ওপর পেরিয়ে গিয়েছে, সরকার এবার এটি প্রতি মাসে করতে চায়। অর্থাৎ আগামী সেরো সার্ভে ১ থেকে ৫ অগাস্টের মধ্যে হবে।

জৈন দাবি করেছেন, তাঁদের সরকারের নেওয়া একাধিক পদক্ষেপেই মৃত্যুর হার কমে গিয়েছে। আগে করোনা সংক্রমিতদের হাসপাতালে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের জন্য আলাদা জায়গা থাকবে, যেখানে তাঁদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অক্সিজেন দেওয়া হবে। এছাড়া তাঁরা সরবরাহ করেছেন ২৪,০০০ পাল্স অক্সিমিটার, এর ফলেও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।

তবে সাধারণ মানুষকে সাবধানতা বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেছেন, তাঁরা যেন মাস্ক পরেন, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখেন ও নিয়মিত হাত পরিষ্কার করেন।

সার্ভে চলবে সব এলাকায়, কনটেনমেন্ট এবং নন কনটেনমেন্ট জোনে। বয়স্ক নাগরিক, অল্প বয়স্ক, শিশু, নারী, পুরুষ সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন।