নয়াদিল্লি : দিল্লি মেট্রো আনলক পর্বের প্রথম দিনেই নিয়ম ভাঙলেন যাত্রীরা। বার বার বলা সত্ত্বেও মেট্রোর মধ্যে দাঁড়িয়েই গন্তব্যে পৌঁছালেন তাঁরা। ফলে নতুন করে দিল্লি মেট্রো রেল শুরু হতেই সংক্রমণের চিন্তা বাড়ল।


শনিবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করেছিলেন, সোমবার থেকেই রাজধানীতে চালু হবে মেট্রো পরিষেবা। তবে সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে প্রথমে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই শুরু হবে যাত্রাপথ। যদিও প্রথম দিনেই মেট্রোর নিয়ম ভাঙতে দেখা গেল যাত্রীদের। পূর্ব দিল্লির নির্মাণ বিহার মেট্রো স্টেশন থেকে রাজীব চক পর্যন্ত মেট্রোর নিয়ম মানলেন না যাত্রীরা। সময়ে সময়ে ঘোষণা করা সত্ত্বেও দাঁড়িয়ে সফর করতে দেখা গেল যাত্রীদের। একই অবস্থা দেখা গিয়েছে রাজীব চক থেকে আইএনএ মার্কেট (ইয়েলো লাইন) পর্যন্ত মেট্রোর যাত্রাপথে।


গত ১৯ এপ্রিল থেকে ব্যাপক হারে কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউন শুরু হয় রাজধানীতে। এরপরই ১০ মে কোভিডের মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণের আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয় দিল্লির মেট্রো পরিষেবা। দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের গাইডলাইন মেনে এদিন মেট্রো পরিষেবা চালু করে মেট্রো রেল কর্পোরেশন। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে যাতায়াত শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি বহু জায়গায়।


সম্প্রতি এক শতাংশের নীচে চলে যায় রাজধানীর কোভিড পজিটিভিটি রেট। এরপরই দিল্লিবাসীর উদ্দেশ্য খুশির খবর শোনান কেজরিওয়াল। একে একে রাজধানীতে আংশিক আনলক পর্ব শুরু হবে বলে জানান তিনি। সেই অনুযায়ী সোমবার থেকে যাতায়াত শুরু করে মেট্রো রেল। পাশাপাশি এদিন থেকেই জোড়-বিজোড় নীতি মেনে খোলা হয় দোকানপাট। 


গত শনিবার আংশিক আনলক পর্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''রাজধানীর কোভিড পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫০০ জন। মানে কোভিড পজিটিভিটি রেট ০.৫ শতাংশ। তবে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রখে রাজধানীতে এখনও লকডাউন জারি রাখা হয়েছে। শপিং মল ও দোকানপাট জোড়-বিজোড় নিয়ম মেনে সোমবার থেকে খোলা হবে।''


এদিন থেকে দিল্লিতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকানপাট। তবে সেই ক্ষেত্রে দোকানের জোড়-বিজোড় নম্বর অনুযায়ী দোকান খোলার অনুমতি পাবেন দোকানিরা। সরকারি অফিসের ক্ষেত্রে এ গ্রেড আধিকারিকদের ১০০ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সরকার। অন্যদের ক্ষেত্রে এই উপস্থিতির সংখ্যা ৫০ শতাংশ। যদিও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার ক্ষেত্রে আধিকারিক তথা কর্মীদের ১০০ শতাংশ উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে নির্দেশে। বেসরকারি অফিসের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এ ক্ষেত্রে আগামী কিছুদিন কর্মীদের বাড়িত বসেই কাজের সুবিধা দিতে বলেছেন কেজরিওয়াল।