নয়াদিল্লি: মদ, গাঁজা, চরসে আর কাজ হয় না। এ কারণে নেশা চড়াতে ৩০ বছরের এক যুবক সাপের বিষ ব্যবহার করা শুরু করে। এই ভয়াবহ নেশার কবল থেকে মুক্তির জন্য পশ্চিম দিল্লির শাদিপুরের বাসিন্দা ওই যুবককে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি। চিকিত্সকরা বলছেন, ওই যুবকের রক্তও বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। তার থুতুও অন্যদের কাছে মারাত্মক হতে পারে।
পেশায় ড্রামার ওই যুবক একেবারে কিশোর বয়স থেকে মাদক নেওয়া শুরু করে। গত কয়েক মাস আগে সে সাপের বিষ নিতে আরম্ভ করে। ওই যুবক বলেছে, আমার বন্ধুরা সবাই গাঁজা, আফিম, হিরোইন ব্যবহার করে। নেশার যা কিছু পাওয়া যায় আমি সবই ব্যবহার করেছি। কিন্তু একটা সময় ওগুলোতে আর নেশা হত না। তখন আমি সাপের বিষ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। একবার সাপের বিষ নিলে ২৪-৩০ ঘন্টা নেশা চড়ে থাকে।
সে জানিয়েছে, মাদক কারবারীরা ছোট্ট প্যাকেটে সাপের বিষ বিক্রি করে। দাম তিন থেকে চার হাজার টাকা।
হাসপাতালের সাইকিয়াট্রি ও টি-অ্যাডিকশন বিভাগের প্রধান ড. স্মিতা দেশপান্ডে বলেছেন, মাদকাসক্তি থেকে মুক্তির জন্য আসা রোগীদের মধ্যে এই প্রথম কেউ সাপের বিষ নেওয়ার কথা স্বীকার করল। এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল এবং রোগীরা কোন মাদক নেয়, তা সহজে জানায় না।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেশার টাকা পেতে বাড়ির লোকেদের হুমকি দিত ওই যুবক। এরপর বাড়ির লোকজন তাকে হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য নিয়ে আসেন।