ভুবনেশ্বর: গোলাপের একের পর এক পাপড়ি সরালে, সামনে আসে নতুন পাপড়ি। রোজভ্যালিকাণ্ডের তদন্তেও একটা পরদা সরাতেই উঠে আসছে আরেক পর্দা! এরকমই বেশকিছু তথ্য সামনে এসেছে আদালতে পেশ করা সিবিআইয়ের ফরওয়ার্ডিং লেটারে। এতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রোজভ্যালিকাণ্ডে গৌতম কুণ্ড ও তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনে মিলে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।


ফরওয়ার্ডিং লেটারে সিবিআই-এর দাবি, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন বেআইনিভাবে ব্যবসা করছে রোজভ্যালি। তা সত্ত্বেও সাংসদ হিসেবে রোজভ্যালিকে প্রোমোট করে গিয়েছেন তিনি।

সিবিআই-এর আরও দাবি, একজন সাংসদ হয়েও সংস্থার প্রচারের জন্য রোজভ্যালির একাধিক বৈঠকে হাজির ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুধু তাই নয়, সিবিআইয়ের আরও দাবি, গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে একাধিকবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রোজভ্যালি কর্ণধারের সঙ্গে সুমধুর সম্পর্ক ছিল তৃণমূল সাংসদের। এবং এই সম্পর্কের সুবাদে কলকাতা উত্তরের তৃণমূল সাংসদ রোজভ্যালি থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রচুর সুবিধা নিয়েছেন বলে দাবি করেছে সিবিআই।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে আরও দাবি,নিজের সাংসদ প্যাডে সুদীপের করা সুপারিশেই গৌতম কুণ্ডুর ছেলে সেন্ট জেভিয়ার্সে ভর্তি হয়। তার কিছুদিন পরই আবার গৌতম কুণ্ডু ৭৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেন স্কুলকে।

সিবিআই-এর দাবি, এ ক্ষেত্রেও আরও বেশকিছু তথ্য তাদের হাতে এসেছে।