কলকাতা: রোজভ্যালিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দুই তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।এরপর কি আরও কোনও প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীকে তলব করতে পারে সিবিআই? সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের যে রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআই রোজভ্যালিকাণ্ডের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে তিন মন্ত্রীর নাম আছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে দাবি। কারা তাঁরা? তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?


সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রথমজন এক প্রভাবশালী মন্ত্রী। রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযোগ, গৌতম কুণ্ডু বহুবার ওই মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে রোজভ্যালির ব্যবসা সম্প্রসারণ ও কর্মকাণ্ড নিয়ে বৈঠক করেছেন। কুণ্ডুর বয়ান অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে আর্থিক লেনদেনও হয়েছিল।

ইডি সূত্রে খবর, আরেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রভাব খাটিয়ে রোজভ্যালির বিরুদ্ধে মামলা চাপতে সাহায্য করেছেন। বিনিময়ে রোজভ্যালি কর্নধারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে মেয়েকে ব্যবসায়িক সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন।

ইডি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, তৃতীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রভাব খাটিয়ে শিলিগুড়ি ও ডুয়ার্স এলাকায় রোজভ্যালির হোটেল ও ব্যবসায়িক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রসারে সাহায্য করেন।

এছাড়া এই তালিকায় নাম রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার একটি পুরসভার চেয়ারম্যানের। যিনি এলাকা উন্নয়নের নামে রোজভ্যালি থেকে টাকা নেন বলে অভিযোগ।

ইডি সূত্রে দাবি, এক প্রাক্তন ছাত্রনেতারও নাম রয়েছে রিপোর্টে। অভিযোগ, তিনি রোজভ্যালির বিরুদ্ধে মামলা হলে বিষয়টি দেখে নেবেন বলে আশ্বাস দেন।

ইডি সূত্রে খবর, তালিকায় নাম রয়েছে এক সাংসদের স্ত্রীর। যিনি রোজভ্যালি থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

নাম রয়েছে এক প্রভাবশালী শিল্পপতিরও। যাঁর নির্মাণ ব্যবসায় গৌতম কুণ্ডু কোটি কোটি টাকা লগ্নি করেছিলেন। রাজ্যের তাবড় নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে এই শিল্পপতির ভালরকম যোগাযোগ রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ।।

নাম রয়েছে এক চলচ্চিত্র প্রযোজকেরও। যিনি রাজনীতিকদের সঙ্গে গৌতম কুণ্ডুর পরিচয় করিয়ে দেন। তারপর সেই রাজনীতিকরা রোজভ্যালি কর্ণধারকে চলচ্চিত্র ব্যবসায় লগ্নিতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ।

গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ইডি-র এই রিপোর্টে দু’নম্বরে নাম ছিল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চার নম্বরে তাপস পালের। এরা দু’জনেই গ্রেফতার হয়েছেন। এবার কি তাহলে তালিকায় নাম থাকা বাকি হেভিওয়েটদেরও ডাক পড়বে?