৪৫ বছরের রোহিত দত্ত নামে পেশায় ব্যবসায়ী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, চিকিত্সার সময় তাঁর ক্ষেত্রে দারুণ কাজ দিয়েছে প্রাণায়াম। আমি বলছি, কোভিড-১৯ আক্রান্তরা প্রাণায়াম করুন। তা উতকণ্ঠা, উদ্বেগের মাত্রা কমায়।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউরোপ থেকে ফেরার দিনকয়েক বাদে তাঁর হালকা জ্বর হয়। তাঁকে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে পরীক্ষা করা হলে করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তিনি বলেছেন, সঙ্গে সঙ্গে আমায় কোয়ারেন্টিন করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমায় বাড়ি ফেরার অনুমতি দেয়নি। হাসপাতালে রোগীদের যা যা প্রয়োজন হয়, সব আমি পেয়েছিলাম। উত্তর ভারতের প্রথম রোগী আমিই। প্রত্য়েক ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন দারুণ তৈরি, কী করতে হবে, সব জানতেন।
নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, জানার পর তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন, বলেছেন রোহিত। তবে তিনি সবাইকে বলছেন মনে জোর রাখতে, সরকার, ডাক্তারদের ভরসা করতে। ভেঙে না পড়ার পরামর্শ দিয়ে বলছেন, যে কোনও রোগের ক্ষেত্রেই মানসিক ভাবে খুব শক্ত থাকা উচিত। কোভিড-১৯ সারানোর কোনও ওষুধ যেহেতু নেই, তাই ডাক্তাররাই রোগীদের মানসিক বল জুগিয়ে চাঙ্গা রাখছেন।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিগ্রহ ‘খুবই দুঃখজনক’ বলেও অভিমত জানান রোহিত।
কোভিড-১৯ পর্ব কাটিয়ে ওঠার পর নিজের মধ্যে কোনও বদল খেয়াল করেছেন কিনা, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সুস্থ হওয়ার পর দেখছি আমি আগের চেয়ে ধর্মে ভরসা আরও বেড়েছে।