নয়া দিল্লি : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে দিয়ে এখনও চলছে দেশ। এরই মধ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার 'ডেল্টা প্লাস' ভ্যারিয়েন্টের জেরে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মূলত মহারাষ্ট্র নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ, ইতিমধ্যেই এখানে এই ভ্যারিয়েন্টে ২১ জন আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে আজ এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগের কারণ কী ?
এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে কারণ, গোটা বিশ্বে ২০০ জন সংক্রমিতের মধ্যে ৩০টি কেস ভারতের। কাজেই, অদূরে ভবিষ্যতে এই ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের তরফে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাঁরা এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রামিত হচ্ছেন, তাঁদের ট্রাভেল হিস্ট্রি এবং টিকাকরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি, জলগাঁও এবং সিন্ধুদুর্গে এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া গেছে।
রত্নাগিরি ও সিন্ধুদুর্গ অঞ্চল থেকে মেলা ভাইরাসের এই প্রজাতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ন্যাশনাল কেমিক্যাল ল্যাবরেটরি। এদিকে মহারাষ্ট্র ছাড়াও মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক ও কেরলেও ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে।
কী এই ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট ?
গত বছর শেষের দিক থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনার ভ্যারিয়েন্ট B.1.617.2-এর জেরে দেশজুড়ে দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়। এদিকে ডেল্টা প্লাস স্ট্রেনে রয়েছে K417N মিউটেশন। যেটাকে প্রাথমিকভাবে B.1.617.2.1. ভ্যারিয়েন্ট বলা হয়েছে।
গত ৩১ মে এটাকে ডেল্টা নামকরণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ
ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, খিদে চলে যাওয়া, জয়েন্ট পেন এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পাশাপাশি জ্বর, ক্লান্তি, গলায় ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, শুকনো কাশি, চামড়ায় র্যাশ বেরনো. ডায়েরিয়া, মাথায় যন্ত্রণা, স্বাদ চলে যাওয়া, গন্ধ চলে যাওযার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন-কোভিড-১৯ এভং ডেল্টা প্লাস মিউট্যান্ট-এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য খুঁজে বের করার।