মুম্বই: অবশেষে যবনিকা পতন। মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন দেবেন্দ্রপ ফড়ণবীসই। সর্বসম্মতিতে তিনি তৃতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বলে জানিয়েছে BJP. সূত্রের খবর, একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পওয়ার দেবেন্দ্রর ডেপুটি হতে পারেন।  যদিও দেবেন্দ্রর উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে শিন্ডে কাজ করতে রাজি হবেন কি না, সেই নিয়ে এতদিন কাটাছেঁড়া চলছিল। 


এখনও পর্যন্ত যা খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন দেবেন্দ্র। তাঁর সঙ্গে সেখানে শপথ নিতে পারেন শিন্ডে এবং অজিতও। মহারাষ্ট্রের BJP সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে জানিয়েছেন, দেবেন্দ্রর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


এবারের মহারার্ষ্ট্র নির্বাচনে BJP, শিবসেনা (শিন্ডে) এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (অজিত)-র 'মহাযুতি জোট'ই জয়লাভ করে। কিন্তু গত ২৩ নভেম্বর নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হলেও, এতদিনেও মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা যায়নি। BJP বেশি আসন পাওয়ায়, তাদের দল থেকে দেবেন্দ্রই মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু শিবসেনা (শিন্ডে)-র তরফে শিন্ডেকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি উঠছিল। এমনকি নির্বাচনের আগে BJP সেই মর্মে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বলে দাবি করা হয়। শিন্ডে জানান, মোদি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাতেই রাজি তিনি। কিন্তু এর পর তাঁর গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়া, অসুস্থ হয়ে পড়ায় জোটের অন্দরে বোঝাপড়া ঠিক নেই বলে জল্পনা শুরু হয়। জল্পনা আরও বাড়ান অজিত। মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য BJP-র মুখকেই সমর্থন করবেন বলে জানান তিনি। 


সেই নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বুধবার জানা গেল, দেবেন্দ্রই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। এদিন দলীয় বৈঠকের পর তাঁকে বলতে শোনা যায়, "এক হ্যায়, সেফ হ্যায়", নির্বাচনী প্রচারে যে স্লোগান তুলেছিলেন মোদি। জোটের অন্দরে কোনও মতানৈক্য নেই বোঝাতেই দেবেন্দ্র ওই স্লোগান তোলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জানা গিয়েছে, BJP-র বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দেবেন্দ্রর নাম সুপারিশ করেন বিজয় রূপাণী, যিনি মুম্বইয়ে BJP-র পর্যবেক্ষক ছিলেন। তাঁর প্রস্তাবে সমর্থন জানান সকলে। শুধু BJP-ই নয়, তাদের অভিভাবক সংস্থা RSS-ও বরাবর দেবেন্দ্রকেই সমর্থন করে আসছিল।


এবারের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট ২৮৮ আসনের মধ্যে ২৩০টিতে জয়ী হয়।  বিজেপি ১৪৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কের ১৩২টিতে জয়ী হয়। বিজেপি-র এই সাফল্যের অন্যতম কারিগর ছিলেন দেবেন্দ্র। তাই মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁকে রাখতে গোড়া থেকেই জোর দিয়ে আসছিল বিজেপি। তবে শরিকদের সঙ্গে ঐক্যমত্যে পৌঁছতেই প্রা দু'সপ্তাহ সময় লেগে গেল।