পটনা: গালওয়ান সংঘর্ষে (Galwan Clash) প্রাণ গিয়েছে ছেলের। তাঁর স্মৃতিতে ফলক (Memorial) তৈরি করেছেন বাবা। অভিযোগ, সেই ফলক ঘিরে বিতর্কে মৃত সেনাকর্মীর বাবাকে গ্রেফতারের (arrest) পাশাপাশি হেনস্থা (manhandle) করল পুলিশ। বিহারের (Bihar) বৈশালী জেলার ঘটনা। 


কী ঘটেছিল?
মৃতের নাম জয়কিশোর সিংহ। অভিযোগ, তাঁর বাবা রাজ কপূর সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হেনস্থাও করার অভিযোগ রয়েছে রাজকে। এ ব্যাপারে একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে যাতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ জোর করে জানডাহা পুলিশ স্টেশনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে প্রৌঢ়কে। সিসিটিভি ফুটেজের সত্যাসত্যা এবিপি আনন্দ যাচাই করেনি। পুলিশের তরফেও হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু মৃতের বাবাকে গ্রেফতার করা হল কেন?

কী থেকে গ্রেফতারি?
দশ ফুট বাই দশ ফুটের ওই স্মৃতিফলকটি গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি তৈরি করা হয়। অভিযোগ, মৃত সেনাকর্মীর বাড়ির সামনে একটি সরকারি জমিতে সেটি তৈরি করা হয়েছিল। এমনকি সেই অনুষ্ঠানে সরকারি আধিকারিকরাও এসেছিলেন বলে খবর। কিন্তু গণ্ডগোল বাঁধে গত ডিসেম্বরে। শোনা যায়, স্মৃতিফলকটির চারপাশ দিয়ে গত ডিসেম্বরে দেওয়াল গাঁথেন রাজ কপূর সিংহ। পুলিশের দাবি, বিষয়টি নিয়ে সিংহ পরিবারের প্রতিবেশি হরিনাথ রামই এফআইআর দায়ের করেছিলেন। তাঁর দাবি, স্মৃতিফলক-ঘেঁষা ২৫ কাঠা জমির মালিক তিনি। সঙ্গে এও অভিযোগ, যে সরকারি কোনও অনুমতি ছাড়াই দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে। এই এফআইআর দায়ের হওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ কপূর সিংহকে। হরিনাথের আরও অভিযোগ, ফলক তৈরির আগে তাঁর সঙ্গে প্রৌঢ়ের যে চুক্তি হয়েছিল সেটিও মানা হয়নি। চুক্তিতে বলা হয়, ফলকটি যেহেতু তাঁর জমির পথে বাধা তৈরি করছে তাই অন্যত্র হরিনাথের জন্য জমি কিনে দেবেন রাজ। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। এর পরই গ্রেফতারি। 
মৃত সেনাকর্মীর ভাই নন্দকিশোর কংহ অবশ্য জানিয়েছেন, এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। বিষয়টি সামনে আসতেই হইচই শুরু হয়। মহুয়া সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার পুনম কেশরির মতে, 'কোনও সরকারি নির্দেশ ছাড়াই ওই জমিতে স্মৃতিফলক তৈরি করা হয়েছিল। অভিযুক্তের জমির পথে বাধা তৈরি করছে ওই নির্মাণ। অভিযুক্ত নিজের জমিতেও ওই নির্মাণ করতে পারতেন।' যদিও সেনাকর্মীর পরিবারের প্রশ্ন, দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন এমন এক জনের পিতার সঙ্গে কি এই আচরণ করা যেতে পারে? 


আরও পড়ুন:একবার নিউমোনিয়া হয়ে গেলে আইসিইউ, ভেন্টিলেটর ছাড়া উপায় নেই, অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে ভয়ঙ্কর কথা শোনালেন ডা. জয়দেব রায়