কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence Case) আদালতে (Court) সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে অসুস্থ নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মা (BJP Worker Abhijit Sarkar' s Mother) হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশে পুলিশ পাহারায় এদিন অভিজিতের পরিবারের সদস্যদের শিয়ালদা (Sealdah Court) আদালতে আনা হচ্ছিল। রাস্তায় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন নিহত বিজেপি কর্মীর মা। পুলিশই তাঁকে এনআরএস (NRS) হাসপাতালে নিয়ে যায়।


আদালতে যাওয়ার পথে অসুস্থ অভিজিৎ সরকারের মা


কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী (BJP Worker) অভিজিৎ সরকার (Abhijit Sarkar) খুনের ২ বছরের মাথায়, ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত। অভিযুক্ত ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। চার্জশিটে কেন নাম নেই তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের? প্রশ্ন তোলেন নিহতের দাদা। আর আজ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার সময়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন নিহত ওই বিজেপি কর্মীর মা।


২০২১-এর ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন, খুন হন, কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় বিজেপি কর্মী অভিজিৎকে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে ২০ জনের বিরুদ্ধে খুন, মারধর, হুমকি লুঠপাট সহ একাধিক ধারায় চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই ঘটনার তদন্তে, বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। কিন্তু, তাঁর নাম সিবিআই চার্জশিটে না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা। এপ্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ার জন্য় ফোন করা হলেও, কোনও মন্তব্য় করতে চাননি পরেশ পাল। অন্যদিকে, সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি রিপোর্ট জমা দিতে না পারায়, এদিন আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করতে পারেনি সিবিআই। 


ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সাক্ষী বিশ্বজিৎ সরকারকে বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শিয়ালদহ আদালতে গতকাল সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। অভিযোগ, শনিবার দলবল নিয়ে বাড়ি গিয়ে মামলা তুলতে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বিশ্বজিৎকে। পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে মামলা দায়ের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাসে। নারকেলডাঙা থানাকে নোটিস দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। 


আরও পড়ুন: Kolkata News: বকেয়া DA-র দাবিতে আন্দোলনে অনড় রাজ্য সরকারি কর্মীরা


২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর বিভিন্ন জেলায় বিজেপি কর্মীদের উপর হিংসা চালানো হয় বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির। মারধর, খুন, মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ করে তারা। এমনকি ভয়ে বহু বিজেপি কর্মী বাড়ি ছাড়া বলেও দাবি করে। এর পর মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআই-এর হাতে গুরুতর অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব তুলে দেয় আদালত।