নয়াদিল্লি: নয় নয় করে ৬০ বারেরও বেশি বার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করেছেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আবারও বড় দাবি করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তাঁকে ফোন করেন মোদি। জানান, ভারত যুদ্ধে যাবেন না। (Donald Trump)

Continues below advertisement


পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখা দেয়, সেই নিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশের উপরই ৩৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তার পরই মোদি তাঁকে ফোন করে যুদ্ধ থেকে সরে আসার কথা জানান। (Narendra Modi)


বুধবার US-Saudi Invest Forum-এর মঞ্চে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, “বিবাদ মেটাতে বরাবরই সিদ্ধহস্ত আমি। যুদ্ধ মেটাতেও…ভারত ও পাকিস্তান… ওরা তো পরস্পরের উপর চড়াও হচ্ছিল, পরমাণু অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে। আমি বলে দিই, যুদ্ধ করলে দুই দেশের উপরই ৩৫০ শতাংশ শুল্ক চাপাব। আমেরিকার সঙ্গে আর বাণিজ্য করা যাবে না। ওরা না না বলছিল, আমি জানিয়ে দিই, হবেই হবে। আমার কথা শুনলে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করব। কিন্তু একে অপরের দিকে পরমাণু অস্ত্র ছুড়বে, লক্ষ লক্ষ মানুষ মারবে, লস অ্যাঞ্জেলসের আকাশে পরমাণু ধুলো উড়বে, তা হবে না।”


ট্রাম্পের দাবি, ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টকে সেই মর্মে নির্দেশও দেন তিনি। জানিয়ে দেন, যুদ্ধে গেলে দুই দেশের উপর ৩৫০ শতাংশ শুল্ক চাপাবেন তিনি। সংযত হলে বাণিজ্যচুক্তি করবেন। এভাবে, শুল্ক হুঁশিয়ারির বলেই তিনি আটটির মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধ থামিয়েছেন বলে দাবি ট্রাম্পের। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ফোন করে ধন্যবাদও জানান।


এর পরই ট্রাম্প দাবি করেন, মোদিও তাঁকে ফোন করেন। ট্রাম্পের বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকে ফোন পাই। উনি বলেন, ‘উই আর ডান’। আমি জানতে চাই, ‘ইউ আর ডান উইথ হোয়াট?’ উনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধে এগোচ্ছি না’। আমি ওঁকে বলি ধন্যবাদ। চলুন চুক্তি করি।”


ট্রাম্পের দাবি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ আটকে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি। গত ১০ মে ট্রাম্পই প্রথম ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত ৬০ বারেরও বেশি একই দাবি করেছেন তিনি। পাকিস্তান ট্রাম্পের মধ্যস্থতার কথা মেনে নিলেও, ভারতের দাবি, কোনও তৃতীয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি করায়নি। যদিও ট্রাম্পের দাবি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি মোদি।