তাইপে: তাইওয়ান শান্তি চায়। কিন্তু তারা দেশবাসীকে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করবে। চিনকে এবার তাইওয়ান এই বার্তা দিল। দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেছেন এ কথা।

টুইট করে ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সীমা টপকিও না। তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে আরও চিনা যুদ্ধবিমান উড়েছে। ভুল কর না, তাইওয়ান শান্তি চায় ঠিকই কিন্তু দেশবাসীকে তারা অবশ্যই রক্ষা করবে।


চিনা আপত্তি উড়িয়ে গত মাসে তাইওয়ানে ঐতিহাসিক সফর করেছেন মার্কিন স্বাস্থ্য সচিব আলেক্স আজার। সে সময় চিনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর মাঝামাঝি টপকে যায়। তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ফাইটার জেটগুলি তারা জমি থেকে টার্গেট করে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে, নিজেদের সীমা থেকে বার করে দেয়।

করোনা পরবর্তী দুনিয়ায় আমেরিকা-চিন তিক্ততা এখন চরমে। আমেরিকা বারবার চিনের সমালোচনা করে অন্যান্য দেশগুলিকে অনুরোধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। তাদের বক্তব্য, বেজিং পড়শি দেশগুলিকে উত্যক্ত করছে, দক্ষিণ চিন সাগরে সেনা নিয়োগ করে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে কিন্তু করোনায় ব্যতিব্যস্ত দুনিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। স্বাধীন তাইওয়ান চিন স্বীকার করে না, এই পরিস্থিতিতে তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক গত মাসে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে তাইওয়ান সেনাকে দেখা গিয়েছে বিমান বিধ্বংসী, ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী এবং জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে।  শোনা গিয়েছে, চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেছে, তাদের আত্মরক্ষার ক্ষমতাকে ছোট করে দেখলে চিন ভুল করবে।

সংবাদপত্রে প্রকাশ, তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, বিশ্বের সব থেকে বেশি অহংকারী রাষ্ট্র কোনও কিছু চিন্তাভাবনা না করেই যুদ্ধে উসকানি দিতে পারে, যুদ্ধের আগুন জ্বালাতে পারে এই গণ্ডমূর্খ প্রশাসন।  চিনা সেনার বারংবার  উসকানি আর কাজ করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে তারা।