কলকাতা: রাজ্যের প্রতিটি পুজো মণ্ডপ দর্শকশূন্য থাকবে। কলকাতা হাইকোর্টের এই পুজো-রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করেছে পুজো উদ্যোক্তাদের ফোরাম।
ফোরামের বক্তব্য, পুজোর প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এই অবস্থায় পরিকাঠামোগত পরিবর্তন করতে হলে সমস্যা হবে। এছাড়াও, বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের ভৌগলিক অবস্থান বিভিন্ন রকম। ফলে, সব জায়গা ঘিরে দেওয়া হলে স্থানীয়দের যাতায়াতে সমস্যা হবে।
করোনা আবহে সব পুজো প্যান্ডেলকে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার এই ঐতিহাসিক রায় দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা বলেন, ছোট পুজোর প্যান্ডেলের শেষ সীমা থেকে থেকে ৫ মিটার এবং বড় পুজোর ক্ষেত্রে ১০ মিটার বাইরে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলতে হবে। ঘেরা এলাকাটি হবে ‘নো এন্ট্রি’ জোন।
আদালতের এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চেই আবেদন জানিয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। ফোরামের বক্তব্য, বেশিরভাগ পুজো হয় গলিতে, লোক বের হবে কী করে? তাঁদের আরও দাবি, ২৫ জনের পক্ষে সম্ভব নয় টানা কাজ করা।
মঙ্গলবার ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের আবেদন গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন মামলার শুনানি। করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৬ অক্টোবর থেকে সল্টলেক আমরি হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে, পুজো নিয়ে আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। বলেন, আদালত যা করেছে ঠিক করেছে। প্রাণ আগে, আমি হাসপাতালে থেকে মানুষের যন্ত্রণা দেখেছি।
দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬ লক্ষ ছুঁইছুঁই। মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। রাজ্যেও হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছুঁইছুঁই। মোট মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এরইমধ্যে বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। একদিকে আবেগ, অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রয়োজনীয়তা। এ এক অদ্ভূত পরিস্থিতি।