চেন্নাই :  মিগজাউমে লন্ডভন্ড হয়েছে তামিলনাডুর একাধিক জেলা। কোমর জলের নিচে চলে গিয়েছিল চেন্নাই। শহরতলির অবস্থা ছিল ভয়াবহ। সেই অভিঘাত কাটতে না কাটতেই কেঁপে উঠল দক্ষিণের জেলা। শুক্রবার সকালে কাঁপল তামিলনাডুর চেঙ্গালপট্টু ( Tamil Nadu’s Chengalpattu district )।  রিখটার স্কেলে মাত্রা ৩.২ ( magnitude of 3.2 ) ।   National Center for Seismology (NCS) এই তথ্য জানিয়েছে।  ৭.৩৯ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয় মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে । 


 






মিগজাউমের ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে তামিলনাডু। চেন্নাইয়ের আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতর দ্বারা প্রকাশিত দৈনিক আবহাওয়ার বুলেটিন অনুসারে চেন্নাই , তিরুভাল্লুর ,কাঞ্চিপুরম ও চেঙ্গলপাট্টুতে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 


ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির নয়াদিল্লির আধিকারিকরা বলেছেন যে, এই ধরনের কম্পন কখনও কখনও ভারী বৃষ্টিপাতের পরে, বর্ষা-পরবর্তী সময়ে ঘটতে পারে। শুক্রবার সকালে চেঙ্গলপাট্টু জেলায় হওয়া মৃদু কম্পনের কারণও তাই হতে পারে। বর্ষাকালের দুই বা তিন মাস পরও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। 


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ম মেনে নগরায়ন, মাটির ধারণক্ষমতা-সহ একাধিক বিষয়ের ওপর জোর না দিলে ভবিষ্যতে বিপদ রোখা যাবে না।   ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত, গুজরাটের বিস্তীর্ণ অংশ, এদেশের অনেকটাই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে। শতাংশের হিসেবে যা অর্ধেকেরও বেশি। হিমালয়ের মুকুট পরে থাকা বাংলায়, ভিনরাজ্যের কম্পনেও এরাজ্যে পায়ের তলার মাটি কাঁপতে পারে। বলছেন ভূবিজ্ঞানীরা।  বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পপ্রবণ ও মৃদু ভূমিকম্পপ্রবণ জোনের মধ্যেই পড়ে কলকাতা। 


গত ৩ নভেম্বর  দিল্লি-NCR-এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়, কেঁপে ওঠে কলকাতাও।  রাত ১১.৩৯ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপাল, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। কেঁপে ওঠে উত্তরভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা - উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশ। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভূকম্পন অনুভূত হয় কলকাতাতেও।


( বিস্তারিত আসছে ... )       


আরও পড়ুন:অস্ত্রোপচার করবে রোবট! নতুন বছরে উপহার SSKM-এ? 

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে