নয়াদিল্লি: পড়শি দেশে ভূমিকম্পের রেশ এসে পৌঁছয় দিল্লিতেও। তার এক দিন পর এ বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারতের অরুণাচল প্রদেশ (Earthquake in Arunachal Pradesh)। বৃহস্পতিবার সকালে কম্পন অনুভূত হয় সেখানে (Tremors Felt)। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৭। এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর মেলেনি।
পড়শি রাজ্য নেপালের পর ভূমিকম্প অরুণাচল প্রদেশে
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (National Centre for Seismology) জানিয়েছে, এ দিন কম্পনের উৎস ছিল ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। সকাল ১০টা বেজে ৩১ মিনিটে কেঁপে ওঠে অরুণাচল প্রদেশের বাসার থেকে ৫২ কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর পশ্চিমের পশ্চিম সিয়াং এলাকা। তাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সেখানে।
অরুণাচলে কম্পনের রেশ অনুভূত হয়েছে আশেপাশের এলাকা এবং পড়শি রাজ্য অসমেও। অসমের তিনসুকিয়া এবং ডিব্রুগড়েও টের পাওয়া গিয়েছে কম্পন।
নেপালের রেশ গতকাল এসে পৌঁছয় রাজধানীতেও
এর আগে, বুধবার ভোরে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপালের দোতি এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৩। তাতে ছ’জনের মৃত্যুর খবর মেলে। কম্পনের জেরে বেশ কিছু বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে সেখানে। নেপালের ওই কম্পনের রেশ এসে পৌঁছয় ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং উত্তরের রাজ্যগুলিতেও।
নেপালে ভূমিকম্পের পরই বুধবার গভীর রাতে কম্পন অনুভূত হয় ভারতে। কেঁপে ওঠে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের একাংশ। কম্পনের উৎসস্থল নেপালের দোতি জেলা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩।
নেপালে ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনাবাহিনী। উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে সকালে ফের কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। ক্ষয়ক্ষতির খবর তেমন উঠে আসেনি যদিও। তবে তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার অরুণাচলে ভূমিকম্প হল। সেখানে বেলা ১২টা পর্যন্ত হতাহতের খবর মেলেনি। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাও স্পষ্ট হয়নি। তবে পর পর ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সীমান্ত লাগোয়া রাজ্যগুলিতে।