কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান(পূর্ব বর্ধমান) : জাতীয় ও রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি থেকে ব্যাটারি চুরির বড়সড় চক্রের হদিস। ব্যাটারি চুরি চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল মেমারি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম মণিরুল গাজি ওরফে রাজু। ধৃতের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার স্বরূপনগর থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক দিন ধরেই জাতীয় ও রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি থেকে ব্যাটারি চুরির অভিযোগ আসছিল। কয়েকদিন আগে রসুলপুরের এক গাড়ি ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে ব্যাটারি খুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
তদন্তে নেমে পুলিশ একটি চারচাকা গাড়ির নম্বর পায়। গতকাল ২ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ধাবার সামনে গাড়িটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুলিশ। এর পরই গাড়িতে থাকা একজনকে গ্রেফতার ও গাড়ি থেকে বেশ কিছু চোরাই ব্যাটারি উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে দুষ্কৃতীদের দলটি ধাবার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক থেকে ব্যাটারি খুলে নিয়ে চম্পট দিত। তার পর সুযোগ বুঝে চোরাই ব্যাটারি বিক্রি করে দিত। চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত এবং চোরাই ব্যাটারি কোথায় তারা বিক্রি করত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে বর্ধমান শহরের গর্ব নতুন রেলওয়ে ওভারব্রিজ রাত নামলেই অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। আলোর দায়িত্ব কার এই নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। আর এর মাঝেই অন্ধকারকে কাজে লাগিয়ে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে উড়ালপুল চত্বর। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ, ছিনতাইয়ের ভয়ে মহিলাদেরও আতঙ্কের মধ্যে পারাপার করতে হয় এই উড়ালপুল। গোটা উড়ালপুলে আলো না থাকায় রাতে মহিলাদের কানের দুল, মোবাইল, টাকা পয়সা ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ছে। ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই উড়ালপুলের উদ্বোধন করেছিলেন। আলোক মালায় সেজে উঠেছিল আরওবি। বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির উদ্যোগে লাগানো হয়েছিল আলো। তখন ভাবতেই পারা যায়নি, এত তাড়াতাড়ি উড়ালপুলের ভাগ্য দুলতে থাকবে।