রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন, প্রাক্তন আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যমের অর্থনীতি নিয়ে হুঁশিয়ারির উল্লেখ করেন চিদম্বরম। সোমবার সংসদের উচ্চকক্ষে তিনি বলেন, রঘুরাম রাজন, অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যমের বিদায় সুনিশ্চিত করলেন আপনারা। অরবিন্দ পানাগারিয়াও বেশিদিন টিকতে পারলেন না। ডাক্তারদের থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইলেন, কিন্তু আপনাদের ডাক্তার কারা? নোবেল বিজয়ী অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থনীতির বেহাল দশার কথা বলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ঝাঁপিয়ে পড়লেন তাঁর ওপর।
বিজেপির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ স্লোগানকে বিদ্রুপ করেও তিনি বলেন, রোগী যখন মরতে বসেছে, তখন তাকে ঘিরে ‘সবকা সাথ, সব কা বিকাশ’ বলে কী লাভ?
সরকার নিজের ভুল স্বীকার করতে তৈরি নয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, আমাদের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার মুখে। খুব দক্ষ ডাক্তার দরকার তার চিকিত্সায়। কিন্তু তাও আমরা এটা মানতে চাইছি না। ক্রমবর্ধমান বেকারি, বৃদ্ধির হার পতন, এই দুটো বড় সমস্যা উপেক্ষা করে যাচ্ছি আমরা।
সাম্প্রতিক কেন্দ্রীয় বাজেটের সমালোচনা করেও চাহিদা জিইয়ে তোলার জন্য সরকার তাতে কোনও ঘোষণা করেনি বলেও অভিযোগ করেন চিদম্বরম। বলেন, একমাত্র মানুষের হাতে টাকা দিয়েই এটা করা যায়। তা না করে আপনারা ২০০ কর্পোরেটকে করের হার ছেঁটে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। আমরা সাবধান করে বলেছিলাম, এটা বিনিয়োগে বাস্তবায়িত হবে না, আর সেটাই হয়েছে। আজ লোকের হাতে টাকা নেই। কারও কোনও ইনসেনটিভ নেই। ভয়ে কেউ ভারতে বিনিয়োগ করবে না।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকেও খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, আমি খুশি উনি ‘অচ্ছে দিন আসছে’, বলেননি ভাষণে। ওরা সেই ফাঁকা স্লোগান ভুলে গিয়েছেন, এটা ভাল। কিন্তু উনি নতুন স্লোগান দিয়েছেন,’সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’। কাল বেরনোর অপেক্ষায় থাকা দিল্লি বিধানসভার ভোটের ফলের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, অন্তত দেশের একটা অংশের মানুষ এই স্লোগানে খুশি কিনা, কাল জানতে পারব।
বাজেট তৈরির সময় আর্থিক সমীক্ষার একটিও প্রস্তাব বাছাই না করার অভিযোগেও নির্মলার সমালোচনা করে তিনি বলেন, সংসদে একটি মতামত নিয়েও আলোচনা হয়নি।