প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: নারদ স্টিংকাণ্ডের তদন্তে ফের নেতা-মন্ত্রীদের নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ইডি সূত্রে।
নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত মুকুল রায় এখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে। বর্তমানে তিনি দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। ইডি সূত্রে দাবি, মুকুল ইতিমধ্যেই নথিপত্র জমা দিয়েছেন। নারদ স্টিং অপারেশনে দেখা গিয়েছিল তৎকালীন তৃণমূল নেতা ও বর্তমানে বিজেপিতে যোগদানকারী শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও।
ইডি সূত্রে দাবি, এই সম্পর্কিত তথ্য দিয়েছেন শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। আরেক অভিযুক্ত আইপিএস অফিসার এসএমএফ মির্জাও নথি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু ইডি সূত্রে দাবি, এখনও আয়-ব্যায় সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য দেননি ফিরহাদ, মদন, প্রসূনরা। সে কারণেই তাঁদের ফের নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, নথি যদি চায়, তাহলে সহযোগিতা করা উচিত।
নারদ স্টিংকাণ্ডের পাশাপাশি রোজভ্যালি কাণ্ডেরও তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, রোজভ্যালির ৫ কোটি ৮২ লক্ষ টাকার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করতে চেয়ে বিশেষ আদালতে আবেদন জানিয়েছে ইডি। বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়ি বিক্রি করে, প্রতারিতদের টাকা ফেরাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সূত্রের খবর, আদালতে ইডির তরফে আরও জানানো হয়েছে, চকোলেট গ্রুপ অফ কোম্পানিজ নামে একটি সংস্থা খুলেছিল রোজভ্যালি। সেই সংস্থার মাধ্যমেই হোটেল ও রিসর্টের ব্যবসা চালাচ্ছিলেন গৌতম কুণ্ডু। ইডির অভিযোগ, বেআইনি ভাবেই সেই হোটেল, রিসর্টগুলি সাবলিজ বা অন্যদের হস্তান্তর করেছে রোজভ্যালি।