নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত হয়ে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত বিশদ তথ্য জমা দিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। কোন সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিয়েছে, কোন কোন দল চাঁদা পেয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য আগেই জমা দিয়েছিল তারা (Electoral Bonds)। বৃহস্পতিবার বন্ডের ক্রমিকসংখ্যা-সহ বিশদ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। SBI প্রদত্ত সেই তথ্য হাতে পেয়ে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। (SBI Electoral Bond)
এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে এসেছে, সেই অনুয়ায়ী, রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর সঙ্গে সংযুক্ত Qwik Supply Chain Private Limited থেকে কমপক্ষে ৩৭৫ কোটি টাকা বিজেপি-তে গিয়েছে। ওই সংস্থার কেনা আরও ৩৫ কোটি টাকার বন্ড থেকে টাকা যায় শিবসেনা এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির কাছে। ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি Qwik Supply ২২৫ কোটি টাকার বন্ড কেনে। তাদের কেনা ২০০ কোটি টাকার বন্ড ওই বছরই ১০ জানুয়ারি ভাঙায় বিজেপি। ৬ জানুয়ারি ২৫ কোটি টাকা ভাঙায় শিবসেনা।
ক্রমিক সংখ্যা ধরে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য
কোন বন্ড, কোন দল ভাঙিয়েছে, তথ্য এল
লোকসভা নির্বাচনের আগে সম্প্রতি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে 'অসাংবিধানিক' ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। কোন কর্পোরেট সংস্থা এবং শিল্পপতির কাছ থেকে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে চাঁদা গিয়েছিল, SBI-কে সেই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য প্রকাশ করতে বলা হয়। এতদিন সেই নিয়ে গড়িমসি করলেও, শেষ পর্যন্ত কিছু তথ্য প্রকাশ করে SBI, কিন্তু তা অসম্পূর্ণ ছিল। নির্বাচনী বন্ডের ক্রমিকসংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ED At Kejriwal House: গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচের আর্জি ফিরিয়েছে আদালত, তার পরই কেজরিওয়ালের বাড়িতে ED
সেই নিয়ে আবারও সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসিত হয় SBI. ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিলের পর থেকে যত নির্বাচনী বন্ড কেনা হয় এবং সেগুলি ভাঙিয়ে টাকা তোলা হয়, তার বিশদ তথ্য প্রকাশ করতে বলা হয় তাদের। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে জমা দিতে বলা হয় হলফনামা। সেই মতো বৃহস্পতিবারই তথ্য জমা দেয় SBI. ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং KYC সংক্রান্ত তথ্যই শুধু বিশদে প্রকাশ করা হয়নি বলে জানায় তারা।
এর আগে, কমিশনকে দু'টি তালিকা দিয়েছিল SBI, যা গত ১৪ মার্চ নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে কমিশন। ওই তালিকার একটিতে কারা, কত টাকা করে চাঁদা দিয়েছে, তার উল্লেখ ছিল, অন্যটিতে কোন দলের কাছে, কত টাকা চাঁদা গিয়েছে, তার মধ্যে কবে কত টাকা ভাঙানো হয়েছে, তার উল্লেখ ছিল। কিন্তু ইউনিক নম্বর ছাড়া কোন সংস্থা থেকে কোন দলের কাছে চাঁদা গিয়েছিল, তা বোঝার উপায় ছিল না। এবার তা সম্ভব হতে পারে।