নয়া দিল্লি : বিতর্কের মধ্যেই লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে সিবিআই এবং ইডি অধিকর্তাদের মেয়াদবৃদ্ধির বিল (ED, CBI Tenure Bill)। তা নিয়ে এবার কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সৌগত রায় (Sougata Roy)। তাঁর অভিযোগ, স্বৈরাচারী আচরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকার ঘনিষ্ঠ আধিকারিকদের প্রাধান্য দিতেই এই বিল আনা হয়েছে।
বিরোধীদের আপত্তি এবং হইহট্টগোলের মধ্যেই বৃহস্পতিবার লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গিয়েছে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন সংশোধনী বিল ২০২১ এবং দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্ট্যাবলিশমেন্ট সংশোধনী বিল ২০২১। তাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই) এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিকদের মেয়াদ বাড়িয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর করা হয়েছে। তা নিয়েই শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সৌগত।
তাঁর কথায়, ‘‘স্বৈরাচারী আচরণ করছে কেন্দ্র। এর আগে অধ্যাদেশ জারি করে দুই আইনে সংশোধন ঘটিয়ে আধিকারিকদের মেয়াদ দুই থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর পর্যন্ত করেছিল তারা। সংসদে এর তীব্র বিরোধিতা করি আমরা।’’
সিবিআই এবং ইডি আধিকারিকদের মেয়াদ বৃদ্ধির পিছনে অন্য অভিসন্ধি রয়েছে বলে লাগাতার অভিযোগ করে আসছে বিরোধী শিবির। সেই সুর ধরা পড়েছে সৌগতর গলাতেও। তিনি বলেন, ‘‘সরকার ঘনিষ্ঠদের প্রাধান্য দিতেই এই বিল। আসলে আধিকারিকদের সামনে গাজর ঝুলিয়ে নিজেদের কাজ হাসিল করতে চাইছে সরকার। সরকারের মর্জিমত চললে মেয়াদ বাড়বে। এতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে।’’
বিরোধী শিবিরের রাজনীতিকদের কাবু করতে কেন্দ্রীয় সরকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস, তৃণমূল, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি), শিবসেনা, ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি), দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাঝগম (ডিএমকে)-সহ একাধিক দল এই তালিকায় রয়েছে।
সৌগতর অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে লাগাতার মামলা দায়ের হয়। কিন্তু বিজেপি-তে যোগ দিলেই সব দোষ মাফ হয়ে যায়। সৌগত একা নন, বিরোধীদের ওজর-আপত্তিকে গুরুত্ব না দিয়ে, ধ্বনিভোটে সংসদে বিল পাশ করিয়ে নেওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন আরও অনেকেই।