নয়াদিল্লি: তবলিঘি জামাতের যে ট্রাস্টের ব্যাপারে অভিযোগ উঠেছিল, তার সন্ধান পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি জানিয়েছে, এই ট্রাস্টের নাম কাসিফ উল উলুম। এর পাস বইয়ের খোঁজ মিলেছে, এ নিয়ে জেরা করা হবে মৌলানা সাদ ও তাঁর ছেলেদের। এখনও পর্যন্ত এই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৯০ লাখ টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে। ইডি সেই ব্যক্তিরও সন্ধান পেয়েছে যিনি বিদেশে টাকা পাঠাতেন।


তবলিঘি জামাত কাণ্ডের তদন্ত ইডি করছিল অর্থ পাচার আইনের আওতায়। এর আগে তারা এ ব্যাপারে আয়কর ও অন্যান্য সরকারি বিভাগের থেকে তথ্য চায় কিন্তু ট্রাস্টের ব্যাপারে কোনও তথ্য হাতে আসেনি। ফলে ইডি আধিকারিকরা বুঝতে পারছিলেন না, তবলিঘি জামাতের অর্থ বিদেশে পাচার করা হয় কী করে, অর্থ তাদের কাছে পৌঁছচ্ছেই বা কী করে। এবার তাদের ট্রাস্টের খোঁজ পেয়েছে তারা। এই ট্রাস্টের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে দিল্লির নিজামুদ্দিনে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ব্রাঞ্চে। ইডি এ ব্যাপারে তথ্য পেতে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে নোটিস পাঠিয়েছে।

ইডি জানতে চায়, এই ট্রাস্টের সঙ্গে তবলিঘি জামাতের কী সম্পর্ক, মৌলানা সাদ ও তাঁর ছেলেদের সঙ্গেই বা সম্পর্ক কী। সূত্রের খবর, তদন্তে বেশ কিছু নাম সামনে এসেছে। এদের মধ্যে একজনের নাম নিজামি, তার হোটেল ও সুগন্ধীর ব্যবসা রয়েছে। এছাড়া আব্বাস আফগানি নামে এক ব্যক্তির ওপরেও সন্দেহ ঘণীভূত, অভিযোগ, হাওয়ালার কারবার করে সে। দিল্লি পুলিশ যে সব নথি পাঠিয়েছে, সেগুলি উর্দু থেকে হিন্দিতে অনুবাদ করা হচ্ছে, তাতে অনেক লুকনো তথ্য রয়েছে বলে অনুমান।

তবে ইডি সূত্রের খবর, এখনও টাকা পাচারের সঙ্গে মৌলানা সাদের সরাসরি যুক্ত থাকার খবর মেলেনি। কিন্তু তদন্ত যত এগোবে তত মৌলানা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় হবে। তবলিঘি জামাত ও তার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চও তদন্তে নেমেছে। জারি হয়েছে বিভিন্ন ধারায় মামলা। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে টাকা পাচারের মামলার তদন্ত করছে ইডি।