Israel Palestien Conflict: অতর্কিতে ইজরায়েলে (Israel) হামলা করেছে হামাস (Hamas)। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হামলা এতটাই গুরুতর যে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের (Palestien) মধ্যে তৈরি হয়েছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। এত বড় হামলা হল অথচ আগে থেকে কিছুই টের পেল না ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা? এই প্রশ্নই এখন বারবার উঠছে। এর মধ্যেই শোনা গিয়েছে, ইরানের সেনাবাহিনীর গুপ্তচরই নাকি হামাসকে এই হামলার পরিকল্পনায় সাহায্য করেছে। যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে ইরান জানিয়েছে সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হচ্ছে। এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে আর একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। মিশরের গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছে, ইজরায়েলকে নাকি আগেভাগেই সতর্ক করা হয়েছিল যে কিছু বড় একটা ঘটতে চলেছে। বিগত ৫০ বছরে এমন হামলা দেখেনি ইজরায়েল। হামাস যে এমন ভয়ঙ্কর ভাবে হামলা করতে পারে নিঃসন্দেহে সাধারণ মানুষ তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি। 


ইজরায়েলের আধিকারিক জানিয়েছেন, কায়রোর তরফে বারবার ইজরায়েলকে সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল বড় কিছু একটা ঘটতে চলেছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে চোখের নিমেষে সেই সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইজরায়েলের তরফে এই সতর্কতাকে বিশেষ পাত্তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ এনেছেন মিশরের আধিকারিক। অন্যদিকে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ হয়েছে একথাও বলেছেন অনেকেই। মিশরের গোয়েন্দা সংস্থা প্রধান আব্বাস কালেমের বারংবার সতর্কবার্তার পরেও ইজরায়েল গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখেনি। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিস। সূত্রের খবর, হামাসের হামলার ১০ দিন আগেই নাকি মিশরের তরফে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল ইজরায়েলে। যদিও এই তথ্যকে ভুয়ো বলে দাবি করেছে নেতানিয়াহুর অফিস। পাল্টা মিশরের গোয়েন্দা সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে যে তাদের প্রধানের সঙ্গে সরাসরি কোনও যোগাযোগেই যাননি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। 


বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী পর্যায়ে রয়েছে ইজরায়েল এবং হামাস। যুদ্ধের প্রভাবে উভয় পক্ষেই বাড়ছে আহত এবং নিহতের সংখ্যা। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইরানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা হামাসকে ইজরায়েলের উপর হামলা করতে সহায়তা করেছে। যে প্রাণঘাতী হামলার পরিকল্পনা করেছে হামাস, সেখানে মদত রয়েছে ইরানের নিরাপত্তাকর্মীদের। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনের আরও বলা হয়েছে যে বেরুটের একটি বৈঠকে ইরানের তরফে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। হামাজ এবং হেজবোল্লাহ- এই দুই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বর্ষীয়ান সদস্যদের তরফেও একথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে এক্স মাধ্যমে ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রকও এমনই বিবৃতি দিয়েছে। হামাস, হেজবুল্লাহ এই দুই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বেরুটে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে ইরানের নিরাপত্তা আধিকারকদের। যদিও ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 


আরও পড়ুন- গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলের 'সম্পূর্ণ অবরোধ', বন্ধ বিদ্যুৎ-জল-খাবার-গ্যাস সরবরাহ, 'গভীরভাবে ব্যথিত' রাষ্ট্রসংঘের প্রধান