নয়াদিল্লি: করোনা, লকডাউনের পর বিধ্বংসী ঝড় উমপুন। একের পর এক ধাক্কায় ফিকে ঈদের আনন্দ। । প্রস্তুতিও ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে।
এবার ঈদের আনন্দ পালন করুন বাড়িতেই, রাজনৈতিক নেতা থেকে ইমাম, প্রত্যেকেই বারবার অনুরোধ করেছিলেন আগে থেকেই। দিল্লির জামা মসজিদের শাহি ইমাম সঈদ আহমেদ বুখারি ঈদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আবেদন জানান, করোনা সতর্কতা মেনেই উৎসব পালন করুন। আলিঙ্গন, হাত মেলানো থেকে বিরত থাকুন।
সোমবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঈদে ধরা পড়ল অন্যরকম ছবি। মিলন উৎসবে বজায় থাকল সামাজিক দূরত্ব। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যেখানে মসজিদ খোলা, সেখানে  মসজিদে সুরক্ষিত দূরত্ব রেখেই পড়া হল নমাজ।


সারা দেশের মতো কলকাতাতেও বন্ধ মসজিদ। তাই সকলেই প্রার্থনা করলেন বাড়িতে। সপরিবারে প্রার্থনা সারলেন  ফিরহাদ হাকিম। বললেন, এরকম ভাবে ঈদ পালন আগে কখনও করেননি। স্নান সেরে , নতুন পোশাক পরে মসজিদে ঈদের নমাজ পড়তে যাওয়া, এই অভ্যেস তাঁর ছোট থেকেই। এবার ব্যতিক্রম ঘটল। মন খারাপ রেখেই তিনি বললেন, পৃথিবী সঙ্কটের মুখে, এ-ছাড়া উপায় নেই।

শিলিগুড়ির জামা মসজিদে নমাজ পড়লেন ইমাম ও আরও একজন। বাকিরা বাড়িতেই প্রার্থনা করুন, বার্তা ইমামের। সেই সঙ্গে দেশ অতিমারী-মুক্ত হোক, প্রার্থনা ইমামের।

ত্রিপুরা, রামেশ্বরম, কর্ণাটক, দিল্লি থেকে বিভিন্ন মসজিদই আজ বন্ধ। বাড়িতেই নমাজ পড়লেন সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেনও সপরিবারে নমাজ পড়লেন বাড়িতেই। জানালেন, করোনা সতর্কতা মানা এই মুহূর্তে বড় জরুরি, তাই বাড়িতেই প্রার্থনা।

সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি ঈদের আগেই জানান, ‘‘অতিমারীর কারণে এই প্রথম আমরা ঈদ-উল-ফিতরের প্রার্থনা ও উদযাপন দু'ই-ই পালন করব বাড়িতে বসে। তবে এতে উৎসবের উদযাপনে কোনও ঘাটতি হবে না।'' সোমবার সেইমতো প্রার্থবনা সারলেন বাড়িতেই।

সোমবার ঈদে দেশবাসীকে  শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।