কলকাতা : রুদ্ধশ্বাস লড়াই। প্রাথমিকভাবে তৃণমূল নেত্রী জিতেছেন বলে খবর ছড়ালেও, গণনা শেষে দেখা যায় জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতাকে ১৯৫৩ ভোটে হারিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না তিনি ? ভারতীয় সংবিধান কী বলছে ?
মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন প্রক্রিয়া :
ভারতের সংবিধান বলছে, দেশের কোনও রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার জন্য এই যোগ্যতাগুলি প্রয়োজন...
- ভারতের নাগরিক হতে হবে।
- রাজ্য বিধানসভার সদস্য হতে হবে তাঁকে। আর বিধান পরিষদের সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও কেউ যদি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন, তবে তাঁকে রাজ্যপালের সই নিতে হবে।
- ২৫ বা তার বেশি বয়স হতে হবে।
- কেউ হেরে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁর দল যদি সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায় এবং দলের নতুন বিধায়করা তাঁকে নেতা বা নেত্রী নির্বাচিত করেন, তাহলে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হতে কোনও আইনি অসুবিধা নেই।
- ভোটে না জিতেও মুখ্যমন্ত্রী হলে তাঁকে ওই পদে বসার দিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ভোটে জিতে আসতে হবে। তার পর ৫ বছরের জন্য অনায়াসে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারেন।
প্রসঙ্গত, ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে পরিবর্তন আনেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সময় তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। ২০১১-র ভোটে নিজে লড়েননি। তবে দল ঐতিহাসিক জয়লাভের পর তাঁকে নেত্রী নির্বাচিত করে। এরপর লোকসভা থেকে পদত্যাগ করেন মমতা। ভবানীপুরে সুব্রত বক্সির জেতা আসনে উপ নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হন। তারপর ২০১৬ সাল পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী।
তৃতীয়বারের জন্যও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বলে কার্যত জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই গণনার ফল উল্টে যায়। দেখা যায়, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর থেকে ১৯৫৩ ভোটে হেরেছেন তিনি। যদিও মমতা পুনর্গণনার দাবি জানাবেন বলে জানিয়েছেন । পাশাপাশি অনেক ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এখন দেখার সামনের দিকে ঘটনাক্রম কোনদিকে মোড় নেয়।