নয়াদিল্লি: বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত হওয়ার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ৷ তিনি লেখেন, ‘‘বাংলা জয়ের জন্য দিদিকে অভিনন্দন, মুখ্যমন্ত্রী পদে পরবর্তী মেয়াদের জন্য শুভেচ্ছা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷’’
সাপ-লুডোর খেলা চলল শুরু থেকেই। শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীকে হারালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ফল নিশ্চিত হতেই দেখা গেল কালীঘাটে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে অফিসে ঢুকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপিকে নিয়ে করা ভবিষ্যৎ বাণী মিলে গিয়েছে। গণনার দিন চালেঞ্জ জিতেও পেশায় থাকছেন না। তাঁর কথা মিলে গেলেও রবিবার গণনার দিনই ভোট কৌশলীর কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন পিকে। একটি সংবাদমাধ্যমকে প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, 'আমি যেই কাজ করছি তা আর চালিয়ে যেতে চাই না। যথেষ্ট কাজ করেছি। এখন সময় এসেছে বিরতি নেওয়ার এবং জীবনে অন্য কিছু করার। আমি এই জায়গাটি ছাড়তে চাই।'
২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর প্রশান্ত কিশোর ট্যুইট লিখেছিলেন,'বাস্তবে দুই সংখ্যা পার করতে কসরত করতে হবে বিজেপিকে। ট্যুইটটি সেভ করে রাখুন। এর চেয়ে বেশি আসন পেলে পেশা ছেড়ে দেব।' রবিবার প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যবাণী ফলতেই পুরনো ট্যুইট পিন টু টপ করে রাখলেন প্রশান্ত কিশোর। আবারও মনে করালেন পুরনো কথা।
বলার অপেক্ষা রাখে না, চ্যালেঞ্জ জিতে গিয়েছেন তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তবু কেন এই পেশায় আর থাকতে চান না সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি। তাহলে কি তিনি ফের রাজনীতিতে যোগ দেবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমি একজন ব্যর্থ রাজনীতিবিদ। আমাকে ফিরে যেতে হবে এবং আমাকে কী করতে হবে তা দেখতে হবে।' খোস মেজাজে তিনি বলেন অসমে পরিবারের কাছেই ফিরে যাবেন তিনি। চা-বাগানের কাজ করবেন বলেও বলেন তিনি।
দুপুর থেকেই জয়ের ইঙ্গিত আসতে শুরু করে। তবে লড়াই যে সহজ ছিল না তা আরও একবার মনে করালেন প্রশান্ত কিশোর। সাক্ষাৎকারে তিনি, বললেন, 'আমদের নারকীয় অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের প্রচারে যথেষ্ট বাধা দিয়ে গিয়েছে।'